বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা চালক শহিদুল ইসলাম শহীদ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি আলিফকে (১৯) আটক করেছে র্যাব-৬। এর আগে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই আসামিকে আটক করেছিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় মোট তিনজনকে আটক করা হলো।
র্যাব-৬, যশোরের সদস্যরা রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে ঝিনাইদহ র্যাবের সহযোগিতায় মাগুরা জেলার শিমুলিয়া এলাকা থেকে আলিফকে আটক করে। আটক আলিফ যশোর সদর উপজেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পাগলাদাহ মাঠপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন .. .. যশোর পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযান শুরু
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত শহিদুল ইসলাম শহীদ তার বিধবা বোনের মালিকানাধীন একটি অটোরিকশা ভাড়ায় চালাতেন। ঘটনার মূলে ছিল শহীদুলের বোনকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতা।
আসামি মিরাজ শহীদুলের বিধবা বোনকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব ও অশ্লীল কথাবার্তা বলত। এই কারণে শহিদুল ইসলাম এবং তার বোন মিরাজকে অটোরিকশা চালাতে নিষেধ করেন। এরই জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যশোরের পাগলাদাহ মাঠপাড়া এলাকায় শহিদুল ইসলাম শহীদকে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত শহীদুলের বাবা বশির আহম্মেদ বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্তে নেমে ঘটনার রাতেই জেলা ডিবি পুলিশ পাগলাদাহ গ্রামের মানিক জমাদ্দারের ছেলে ইয়াসিন হোসেন ওরফে ইরান এবং আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ হোসেনকে আটক করে।
সর্বশেষ, রোববার দিবাগত রাতে র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা ঝিনাইদহ র্যাবের সহযোগিতায় পলাতক অন্যতম প্রধান আসামি আলিফকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটক আসামিদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।

