বাংলার ভোর প্রতিবেদক
আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে যশোর শহরে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শহরের ধর্মতলা মোড়ের পাশে শিবলী নোমান নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় বখতিয়ার রহমান নামের অপর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে আদালতে নির্দেশনা উপেক্ষা করে বুধবার দিনের বেলা মাটি ভরাটের কাজ করেন প্রভাবশালীরা।
ভুক্তভোগী শিবলী নোমান জানান, তার প্রয়াত পিতা মায়মুর আলী ১৯৬০ সালে গাজী জব্বার নামের এক ব্যক্তির কাছ তার মায়ের নামে ৩৫ শতক জমি কেনেন। এরপর সপরিবারে ঢাকায় অবস্থান করার ফলে ওই জমির সাবেক মালিক গাজী জব্বারে ছেলে গাজী আজিজের নজরে পড়ে। জমির মালিক গাজী জব্বারের মৃত্যুর পর গাজী আজিজ হঠাৎ করে ওই জমির একটি জাল দলিল হাজির করে জমির মালিকানা দাবি করে। পরে বিষয়টি নিয়ে আদলাতে মামলা হয়। এর মধ্যে গাজী আজিজ বখতিয়ার রহমানকে ওই জমির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে। এরপর বখতিয়ার সন্ত্রাসীদের নিয়ে রাতে আঁধারে তড়িঘড়ি করে মাটি ভরাট করে জমি দখলের চেষ্টা চালায়। পরে তিনি বিষয়টি জানতে পেরে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে আদালতে নির্দেশনা উপেক্ষা করে বুধবার দিনের বেলায় তারা মাটি ভরাটের কাজ করা হয়।
এ বিষয় বখতিয়ার রহমান বলেন, জমির মূল মালিক গাজী জব্বারের ছেলে গাজী আজিজ আর এস রেকর্ড সংশোধনের জন্যে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০২১ সালে সেই মামলা রায় গাজী আজিজদের পক্ষে আসে। এর আগে তারা আমাকে ওই জমির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করেন। আদালতের রায় নিয়ে জমি দখলে গেলে তারা (শিবলী নোমান) প্রশাসন দিয়ে বাধাগ্রস্থ করেন। পরে তারা ১৪৪ জারি ধারা জারি করেন।
এদিকে ওই জমিতে থাকা ন্যাশনাল প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুল নামের একটি কিন্ডার গার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম লিপু বলেন, গত ১৫ বছর আগে তিনি শিবলী নোমানদের কাছ থেকে জমির মধ্য থেকে একটি অংশ ইজারা নিয়ে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন। বুধবার দুপুরে প্রভাবশালীরা ওই জমি দখল করে মাটি ভরাট করে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। এর মধ্যে একপক্ষ জমিতে মাটি ভরাট করতে যায়। আমরা জানতে পেরে বাধা দিই।