বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের বড় বাজারের আলিফ ফিসের মালিক হাফিজুর রহমান আজাদের (৫২) বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গত ৬ এপ্রিল রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এই মামলাটি রেকর্ড করেছে।
এর আগে একাধিকবার গেলেও থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ধর্ষনের শিকার গৃহবধু আদালতে এই মামলাটি করেন। গৃহবধূর বাড়ি শহরের লোন অফিসপাড়ায়। আসামি হাফিজুর রহমান আজাদ শহরতলীর ঝুমঝুমপুর বালিয়াডাঙ্গার মতিয়ার রহমান গাজীর ছেলে।
বাদী জানিয়েছেন, লোন অফিসপাড়ায় বাদীর দুইটি ফ্লাট বাড়ি রয়েছে। একটিতে নিজে বসবাস করেন এবং অন্যটি ভাড়া দিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে আসামির সাথে দেখা হলে রাস্তা-ঘাটে বাদিকে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে কিছু না জানিয়ে বাদীর ঘরে প্রবেশ করে।
এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাদীকে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয় ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বাদির কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে ছিয়েছে আজাদ।
এছাড়াও বাদির নিজ নামীয় দুইটির ফ্লাটের অর্ধেক আজাদের নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়। পরবর্তীতে বাদী এই ব্যাপারে থানা পুলিশের স্বরণাপন্ন হলে ফ্লাট বাড়ি ও টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়। কিন্তু ফ্লাট ও টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। সবশেষে গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আজাদ আবারও বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করেন।
এ সময় আবারও জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন আজাদ। শুধু তাই নয় বাদীকে মারপিট করায় চিৎকার করিলে তার মোবাইল ফোনসেট ও গলায় থাকা তিন ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে এই ব্যাপারে কোতোয়ালি মামলা করার জন্য যান বাদি।
কিন্তু মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় থানা পুলিশ। ফলে বাধ্য হয়ে বাদী এই ব্যাপারে গত ৪ এপ্রিল যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ অভিযোগ করেন। বিচারক অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে বেকর্ড করা করার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
শুধু তাই নয় পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে এই মামলা সংক্রান্তে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। গত ৬ এপ্রিল মামলাটি রেকর্ড করা হলেও আসামি আজাদকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
তবে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এমরানুর কবীর বলেছেন, আসামি আজাদকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।