বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে ইজিবাইক চালকের হাতে আরেক ইজিবাইক চালক হত্যার ঘটনায় ঘাতক চালক আশরাফুল ইসলাম আশাকে আটক করেছে পিবিআই সদস্যরা। আটক আশরাফুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের খেদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে যশোর শহরের চারখাম্বা মোড়ে কামাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানাধীন স্কয়ার কোম্পানির গেটের সামনে থেকে র্যাব-৯ এর সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা আশরাফুলের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত শনিবার সকালে যশোর শহরের আশ্রম রোডসংলগ্ন রামকৃষ্ণ আশ্রমের সামনে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ইজিবাইক চালক আশরাফুল ইসলাম আশা কাঠ দিয়ে আঘাত করেন অপর ইজিবাইক চালক জাহিদুল ইসলামকে। পরে তাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় আশা।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ছোট ভাই অহিদ শেখ কোতোয়ালি থানায় আশাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তভার পিবিআই যশোরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রথমে আশার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে র্যাবের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। আটক হওয়ার পর আশা জানায়, ঘটনাস্থলে সে ইজিবাইক পরিষ্কার করছিল। অন্যদিকে, পরিষ্কারের জন্য সিরিয়ালে ছিলেন জাহিদুল। আশার সময় বেশি লাগায় ক্ষিপ্ত হন জাহিদুল। এ সময় তিনি বলেন, সারাদিনের অর্ধেকই চলে যাচ্ছে ইজিবাইক পরিষ্কার করতে, তাহলে চালাবো কখন? এই কথায় রেগে গিয়ে আশা লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জাহিদুল।
তিনি আরও জানান, আটকের পর শুক্রবার আশাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিকেলে আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

