বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের জজকোর্ট মোড় এলাকায় ইমদাদ স্যারের কোচিং সেন্টারে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে এক ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরার অভিযোগ তুলে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক এমদাদুল হকের সাথে অভিভাবক ও স্থানীয়দের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে কোচিং সেন্টারে ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষক এমদাদুল হক ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরেন। বিষয়টি শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে জানালে শনিবার সকালে তারা অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জন লোক নিয়ে কোচিং সেন্টারে যান। এ সময় শিক্ষক এমদাদুল হককে আক্রমণ করা হয়। এতে কোচিং সেন্টারের স্টাফদের সাথে তাদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে অন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে বহিরাগতদের প্রতিহত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার আহ্বায়ক রাশেদ খান সেখানে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষের সাথে কথা বলেন। সকলের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসার ব্যবস্থা করেন। মীমাংসায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা-মা তাদের উত্তেজিত আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
কোচিং সেন্টারে আসা কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিক্ষক এমদাদুল হক দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন এবং তাদের সন্তানদের সাথে এমন কোনো ঘটনা কখনো ঘটেনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, রেজোওয়ানসহ স্থানীয় সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
এ বিষয়ে শিক্ষক এমদাদুল হক বলেন, সকল শিক্ষার্থী তার সন্তানের মতো এবং এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পরিকল্পিতভাবে করানো হয়েছে। আমার কাছে কোনো কথা না শুনে আমাকে মারপিট করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধীর দুইজন এবং বহিরাগতরা আমাকে আক্রমণ করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের নেতা রাশেদ খান বলেন, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কিছু অতি উৎসাহী মানুষ সেখানে অনাকাক্সিক্ষতভাবে ভিড় করেছিল। তারা কোনো শিক্ষকের অপমান চান না। প্রকৃত ঘটনা যাচাই করে অপরাধী শনাক্ত হলে তার বিচার হওয়া উচিত।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।