বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে জেগে বসতে শুরু করেছে শীত। ঝলমলে রোদে গা তাপিয়ে নেয়ার সুযোগ মিললেও গোটা জনপদে শীত অনুভূত হচ্ছে। রোদের মাঝেও সোয়েটার-জ্যাকেট পরে চলাচল করতে হচ্ছে জেলাজুড়েই। গত দুই দিনে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দুটিই কমেছে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
যশোর বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বুধবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিলো ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি আর সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন গতদিনের চেয়ে পয়েন্ট তিন ডিগ্রি কমে দাঁড়ায় ১০ দশকি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সাথে সর্বনিম্নও গত দিনের চেয়ে দুই ডিগ্রি কমে দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সাথে বইতে থাকে শীতল বাতাসও। এতে দিনের অগ্রভাগে মানুষের প্রাণচাঞ্চল্য থাকলেও সন্ধ্যায় জেঁকে বসে শীত।
হঠাৎ করেই গত বুধবার থেকে জেঁকে বসে শীত। তবে বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার শীতের তীব্রতা বেশি দেখা গেছে। এদিন সকাল থেকেই সূর্যের আলো ফোটার সাথে সাথে লোকজনকে কর্মব্যস্ত হতে দেখা যায়। রাস্তাঘাটে মানুষের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ে। রোদের মাঝেও সোয়েটার-জ্যাকেট পনে চলাচল করতে দেখা যায় মানুষকে। রৌদ্রজ্জ্বল জায়গায় অনেককেই দেখা গেছে রোদে আড্ডা দিতে। বেলা কমার সঙ্গে সঙ্গে শহরে মানুষের চলাচল কম লক্ষ্য করা গেছে। শীতার্ত হতদরিদ্র মানুষদের দেখা গেছে গরমের উষ্ণতা পেতে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিতে।
যশোর শহরের জিলা স্কুল মোড়ে তহমিনা খাতুন নামে এক পথচারী বাংলার ভোরকে বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে ঠাণ্ডায় তো জমে গেছি। সকাল ৯টায় সূর্য ওঠায় ভালোই লাগছে। কাজকর্ম করতে স্বস্তি লাগছে। তবে বিকেলের পর আবার শীতে জমে যাচ্ছি।’ সার্কিট হাউজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ইজিবাইক চালক বাংলার ভোরকে বলেন, ‘সন্ধ্যার পরে আয়-রোজগার একেবারে নেই বললেই চলে।’
এদিকে শীর্তে বেড়েছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে দেখা যাচ্ছে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধা ও শিশুদের চিকিৎনা নিতে। যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও শহরের নিউমার্কেট শিশু হাসপাতালে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগে চিকিৎসা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্ঠদের।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বজলুর রশিদ বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বহির্বিভাগে বয়স্ক ও শিশুদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। একই সাথে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘শীত বাড়ছে, বয়স্ক ও শিশুদের আলাদা যত্ন নিতে হবে। গরম পানিতে গোসল করাতে হবে। শীত নিরারণে গরম পোশাক পরিধান ও সন্ধ্যার পরে দ্রুত ঘরে প্রবেশ করে নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে।