বাংলার ভোর প্রতিবেদক
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কর পরিষদ যশোরের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চাকরিতে নার্সিং ক্যাডার ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়েছেন নার্সরা।
সেই সঙ্গে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের অপসারণ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে পতাকা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এ দাবি জানান নার্সরা।
বক্তব্য রাখেন, বিএনএ যশোর জেলা শাখার সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, যশোর নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কলেজের নাসিং ইনস্ট্রক্টর আরজিনা খাতুন, জান্নাত আরা, হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স তহমিনা আক্তার, বাদল সরকার প্রমুখ।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনএ যশোর জেলা শাখার সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন জানান, বাংলাদেশের সর্বস্তরের নার্সদের এক দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা এক দফা দাবি দাবিতে কর্মসূচি পালন করছি। আমরা চাই নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিস কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে উক্ত পদগুলোতে উচ্চ শিক্ষিত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়ন করতে হবে।
আন্দোলনকারী নার্সরা জানান, আগে এই দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় একজন নন-নার্স প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার পদে পদায়ন করা হয়েছে, যা নার্সদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা আরও বলছেন, এই আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নার্সদের অভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হতে পারে, যা দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যখাতের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় দেখে আনতে পারে।
এছাড়াও, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে শতাধিক নার্স ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের পেশাক নিয়ে কটুক্তি করেন। যেখানে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদানকে ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু হয় নার্সদের।