বাংলার ভোর প্রতিবেদক
‘সবার জন্য মানসম্মত পরিসংখ্যান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যশোরে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে সোমবার সকালে কালেক্টরেট ভবন চত্বরে দিবস দুটি উপলক্ষে বেলুন উড়িয়ে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন সরকার, জেলা পরিসংখ্যানের উপপরিচালক আবুল হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
পরে কালেক্টরেট সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম তথ্যের সঠিকতা এবং কোয়ালিটি ডেটার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের মূল জায়গা তথ্য সঠিক থাকা। আমরা যে কাজ করি না কেন কোয়ালিটি ডাটা মেনে চলতে হবে। তাহলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
তিনি উল্লেখ করেন, আমরা অর্থনৈতিক কোনো উন্নয়নের কাজ করলে এখন আমাদের চোখ কেশবপুরের দিকে থাকবে, কারণ সেখানে দারিদ্রতার হার বেশি। প্রান্তিক জনসংখ্যার তথ্য সংগ্রহ করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের অনেক কর্মসংস্থানের ডাটা আসে না। সব কিছু সংগ্রহ করে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে দেখানো হয় না। পরিসংখ্যানগত অবস্থায় আমরা দেখি নাজুক অবস্থা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সার্ভে করতে গেলে প্রকৃত তথ্য অনেকেই দিতে চায় না। যে কারণে বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা জন্মায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক ভাবে মর্যাদাবান হতে হবে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখলে কম মূল্যায়ন করে বিদেশিরা। সবাই মিলে আমরা কাজ করতে পারলে বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
আলোচনা সভার আগে জেলা পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন। সেই তথ্যচিত্রে ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী যশোরের মোট জনসংখ্যা ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৪ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতিবর্গ কিলোমিটারে ১ হাজার ১৮০ জন। পুরুষ ও মহিলা জনসংখ্যার অনুপাত ৯৮ দশমিক ২৪: ১০০। পরিবার (খানা) প্রতি গড় সদস্য ৩ দশমিক ৭৯ জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দশমিক ৯৫ শতাংশ। স্বাক্ষরতার হার: ৭৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। জেলায় দারিদ্র্যের হার ৪১ (জাতীয় দারিদ্রের হার থেকে ১০ বেশি)। আট উপজেলার মধ্যে দারিদ্রতার হার সর্বোচ্চ দারিদ্র্য কেশবপুরে ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ। সর্বনিম্ন দারিদ্র্য চৌগাছায় ১১ দশমিক ৮ শতাংশ।
সভায় বক্তারা মানসম্মত পরিসংখ্যানের মাধ্যমে উন্নয়নের সঠিক পথ ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন।