বাংলার ভোর প্রতিবেদক
গত ২ মে সকাল সাড়ে ছয়টায় যশোরের মনিরামপুর উপজেলার একটি ধানক্ষেতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় মেসকাতকে। মেসকাত (৪১) পাবনা জেলার শ্রীপুর গ্রামের নিজাম প্রামানিকের ছেলে। এ ঘটনায় মনিরামপুর থানায় একটি মামলা হলে গত ৪ মে রাতে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসকাত হত্যা মামলার আসামী ভাড়াটে ১ জন মহিলা কিলারসহ ২ জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আজ দুপুরে যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্য রুপণ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ডিবির একটি টিম সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের ২টি মোবাইল ফোন ও হত্যা কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করে।
ডিবি কর্মকর্তা আরো জানান, প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে জানা যায়, মেসকাত যশোর সদর উপজেলার পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইচ মিলের শ্রমিক ছিলেন। মিলের আরেক কর্মচারী সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদারের মেয়ে নাজমার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক হয়। স্বামী পরিত্যক্তা নাজমা বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। মেসকাতের স্ত্রী জুলেখা পরকীয়া প্রেমিকা নাজমাকে মোবাইলে গালমন্দ করাকে কেন্দ্র করে নাজমা বিদেশ থেকে গ্রেফতারকৃত আসামী রিক্তা পারভীনের সাথে ২ লাখ টাকায়। পরে রিক্তার তার সহযোগী শাহীন ড্রইভারের মাধ্যমে কৌশলে সাতক্ষীরার আশাশুনি বুধহাটায় ডেকে নিয়ে পথিমধ্যে চেতনা নাশক খাইয়ে তাকে হত্যা করে লাশ মনিরামপুরের একটি ধানক্ষেতে ফেলে দেয়।
আটককৃত আসামীদের যশোর কতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক কৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের চুন্নু গাজীর মেয়ে রিক্তা পারভিন। সাতক্ষীরা জেলার নৈকাটি গ্রামের মৃত কাজেম সরদারের ছেলে নিজাম সরদার।