বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাদিয়াটোলা পশ্চিম পাড়ার প্রবাসী মেহের আলী ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া বিলপাড়া গ্রামের মিঠুকে হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
মামলাটির তদন্তে নেমেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তবে, এখনো পর্যন্ত কাউকেই আটক করা হয়নি। সোমবার রাতে মেহের আলী হত্যার ঘটনায় তার বাবা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন। অন্যদিকে, একই রাতে মিঠুকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা পাঁচজনকে আসামি ও অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
মেহের আলী হত্যা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মেহের বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মেহের আলী কুয়েতে চলে যান। গত ২৬ জুলাই তিনি দেশে ফেরেন।
এর মাঝে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে তিনি ওই আন্দোলনে মাঠে নামেন। মিছিল মিটিংও করেন। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মেহের আলী বিজয় মিছিল বের করেন।
৮ আগস্ট তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে পরের দিন বাড়ি ফেরেন। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে মেহের বাড়ির মেইন গেট আটকাতে গেলে ওই সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। মামলায় দাবি করা হয়, মেহের আলীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে।
অন্যদিকে, মিঠু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামি হলেন, আড়পাড়া তরফদার পাড়ার সুমন হোসেন, পশ্চিমপাড়ার সুজন হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, বাপ্পি হোসেন ও আড়পাড়া গ্রামের দুখু।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের সাথে মিঠুর পূর্ব শক্রতা চলছিলো। ৯ আগস্ট রাতে আসামি সুমন মিঠুকে আড়পাড়া মোড়ের ইমরানের দোকানে মোবাইল ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে পাশের একটি মাঠে নিয়ে যায়। এ সময় অন্য আসামিরাও উপস্থিত হয়। একপর্যায় সুমনের নেতৃত্বে অন্যআসামিরা একত্রিত হয়ে মিঠুকে ছুরিকাঘাত করে জখম করে। এরপর মিঠুকে গলা কেটে হত্যা করে ওই মাঠে ফেলে পালিয়ে যায়। পরের দিন পরিবাবেরর লোকজন জানতে পেরে লাশ শনাক্ত করে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মামলা রেকর্ড হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে যশোর সদর উপজেলায় দুইটি খুনের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বিবেচনা করে ডিবির টিম সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ইতিমধ্যে তারাও বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।