বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের আরবপুর দিঘীরপাড়া এলাকার একটি মাদ্রাসায় নয় বছরের এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রনিকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মনোহরগ্রাম এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। রনি ওই গ্রামের রাশেদ মিয়ার ছেলে।
শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবা শারমিন তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন দুপুর ১১টার দিকে ওই মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী একটি রুমে থাকা ১৬ ছাত্র ঘুমিয়ে পড়ে। রুমের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, সকলেই ঘুমিয়ে পড়লেও রনি জেগে থাকে। পরে সে বাইরে থেকে এসে এক ছাত্রকে বলাৎকার করে এবং রুম থেকে বের হয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দারা ও মাদ্রাসার ছাত্ররা একত্র হয়ে মাদ্রাসা ঘেরাও করে। তখন রনিকে পুলিশে সোপর্দের চেষ্টা করা হলে, দুই শিক্ষক কৌশলে তাকে হেফাজতে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন।
পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই দুই শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক শিক্ষকরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের ফয়সাল ও ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার পূর্বঘাট গ্রামের কামাল হোসেন। এ ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পায়েল কুণ্ডু বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রনির অবস্থান শনাক্তের পর ত্রিশালের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।