বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর বসুন্দিয়ার ভৈরব নদীত থেকে ইজিবাইক চালক ইমনের লাশ উদ্ধার ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ২ যুবকরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের মোশারফ ফকিরের ছেলে রাকিব হোসেন ও অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ বাবলাতলার এলাকার নওয়াব আলীর ছেলে মিরাজ শেখ। দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত ইজিবাইক চালক ইমন অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে। গত মঙ্গলবার সকালে যশোর কোতোয়ালি পুলিশ ইজিবাইক চালক ইমনের লাশ যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার ভৈরব নদী থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করে।
ইজিবাইক চালক ইমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার পিতা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযানে চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।গত ২৮ এপ্রিল ভোরে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইমন আর বাসায় ফিরিনি। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে লাশ উদ্ধারের দু’ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেন। ডিবি পুলিশের এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজীব সাংবাদিকদের জানান, দু’আসামি জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। হত্যাকারীরা ইমনকে বসুন্দিয়ার জগন্নাথপুর গ্রামে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে রাতে মরদেহ একটি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় ভরে বসুন্দিয়ার সদুল্লাপুর নদীতে ফেলে দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে পলিয়ে যায়। পুলিশ নিহত ইমনের কাছে থাকা মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখে ওই দু’যুবকের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।