বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেলা যুবদলের বহিস্কৃত প্রচার সম্পাদক ইসকেন্দার আলী জনির বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জেলা যুবদল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মামলাটি করেছেন জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
মামলায় কামরুল ইসলাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামি যশোর জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনকালে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে এবং যশোর জেলা বিএনপি’র সুপারিশে তাকে গত ১৭ ডিসেম্বর জেলা যুবদলের প্রাথমিক সদস্যপদ সহ দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এবং ফেসবুকে নানা প্রকার কুৎসা রটনা, ভীতি প্রদর্শন, বিদ্বেষমূলক মিথ্যা বক্তব্য প্রদান ও প্রচার করছে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফেসবুক লাইভে আসামি মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক, বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী মিথ্যা অভিযোগ করেছে যে, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের যশোর ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন, সেখান থেকে তাকে যশোর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা তাকে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। আসামি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি এবং আইনশৃংখলার অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে এমন বক্তব্য প্রচার করেছে। আসামি আইনশৃংখলার অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে এসে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগ করে যে, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মীকে ভারতে পালাতে সাহায্য করেছে এবং যুবদলকে যুবলীগে পরিণত করেছে। আসামি মূলত বিদ্বেষ সৃষ্টি ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে আইনশৃংখলার অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে এমন কর্মকাণ্ড করছে।
মামলার বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, ইসকেন্দার আলী জনির বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। দ্রুতই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।