বিবি প্রতিবেদক
যশোরে বিএডিসির ২০ বস্তা সার বাজারে বিক্রি নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে শহরতলীর হামিদপুর বাজারের একটি দোকানে ভ্যান বোঝাই সার প্রবেশকালে স্থানীয়রা বাঁধা দিলে এ কাণ্ড ঘটে। রাত ১১টা পর্যন্ত এ নিয়ে চলে অভিযান। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সন্দেহযুক্ত সার জব্দ ও দুইজনকে আটক করেছেন। একই সাথে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সোহারব হোসেনের অফিস সংলগ্ন গোডাউনে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, বিএডিসির সিলযুক্ত ২০ বস্তা এমওপি স্যার ভর্তি একটি ইঞ্জিন ভ্যান সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হামিদপুর বাজারের নয়ন এন্টারপ্রাইজে প্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন এ সার আটকে দেয়। তারা সরকারি সার বলে অভিযোগ করে। এ সময় দোকান মালিক ও জনসাধারণের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সার বহনকারী ভ্যান চালক শরিফুল ইসলাম সাইফার স্বীকার করে ‘এগুলো সরকারি সার, স্থানীয় চেয়ারম্যানের গোডাউন থেকে নিয়ে এসেছেন।’ দোকান মালিক শাহাবুদ্দিন জানায়, চেয়ারম্যানের গোডাউনে সমস্যা দেখা দেয়ায় তার দোকানের গোডাউনে সংরক্ষণের জন্য পাঠিয়েছে।
পরবতীর্তে প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কৃষিকর্মকর্তা হাসান আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বৈধ ক্রয় রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় দোকান মালিক শাহাবুদ্দিন ও ভ্যান চালক শরিফুলকে আটক করে। সার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়েছে।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান জানান, বিএডিসির সার দোকানে বিক্রি অবৈধ নয় তবে বৈধ চালান থাকতে হবে। জব্দকৃত সারের উৎস নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।
পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহারব হোসেনের অফিস সংলগ্ন গোডাউনে অভিযান চালান। এ সময় তিনি গোডাউনটি বন্ধ পান। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনকে ফোন দিয়েও হাজির করতে পারেননি। উপায়ন্ত না পেয়ে গোডাউন সিলগালা করে দেন। আজ গোডাউনটিতে পুনরায় অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান।