বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের ৮৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইমুন হোসাইন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, সদরের মধু গ্রামের রুহিন হোসেন, ঘুরুলিয়া গ্রামের কুদ্দস হোসেন, বানিয়ারগাতি গ্রামের শফিয়ার রহমান, শেখহাটির বদিউজ্জামান, তরফ নওয়াপাড়ার আকরাম হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক উপশহর ডি ব্লক এলাকার মিজানুর রহমান, কিসমত নওয়াপাড়ার আনোয়ার হোসেন লাল্টু, রাজু আহম্মেদ, শেখহাটির আসাদুল ইসলাম ঝন্টু, বেনজির, আশরাফুল আলম সেলিম, ইকবাল, আরাফাত, কামরুল হাসান শিমুল, আলাউদ্দিন, আলতাফ হোসেন, তালবাড়িয়ার কবির হোসেন, বাহারুল ইসলাম, পাঁচবাড়িয়ার মশিয়ার রহমান বাবলু, শামীম, তালবাড়িয়া চিনেডাঙ্গা পাড়ার শামীম, ঘুরুলিয়ার আক্কাস, আশরাফুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, আড়পাড়ার আমিনুর রহমান মধু, ইকলাস, রাসেদুজ্জামান, ফারুক, বড় গোপালপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, মধুগ্রামের মাহবুবুর রহমান, ছোট বালিয়াডাঙ্গার তোফাজ্জেল হোসেন, বাহাদুরপুরের রুহুল, বড় গোপালপুর গ্রামের কামরুল, সাইফুল ইসলাম, আলমনগর গ্রামের আশরাফুজ্জামান মিঠু, শহরের ষষ্টিতলাপাড়া রেলগেট মুজিব সড়কের আব্দুর রাজ্জাক সরদার, বকচর হুশতলার আব্দুর রউফ, নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার শেখ ফেরদৌস ওয়াহিদ লিটন, শেখহাটি এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান কবির, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ, শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, কিসমত নওয়াপাড়ার সিরাজ, সমসপুর গ্রামের শান্টু, রুহুল কুদ্দুস, শাহাবুদ্দিন, মুকুল, শহরের পুরাতন কসবা পাওয়ার হাউজ পাড়ার নূর আলম, আরিফ, ইছালী পাঁচবাড়িয়ার বজলুর রশিদ, শহরের বারান্দীপাড়ার হোসাইন, শেখহাটি মসজিদ গলির তরিকুল ইসলাম শাহিন, শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের মতিয়ার রহমান, সতিঘাটা কামালপুরের ইব্রাহিম হোসেন, মধুগ্রামের আব্দুল আলী, শহরের ঘোপ বেলতলার আশেক আলী, রাজাপুরের সবদুল হোসেন, জয়ন্তার আব্দুল মজিদ, তেজরোল গ্রামের রুবেল হোসেন, বাউলিয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, চাউলিয়ার আব্দুর রহমান, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম, ওসমানপুরের হারুন অর রশীদ, শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলার নুর ইসলাম বুল্লা, বসুন্দিয়ার রেজাউল ইসলাম, বানিয়ারগাতির সাজ্জাদ, চৌগাছার তারানিবাসের মতিন, শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়ার শুকুর আলী, বকচর হুশতলার নয়ন, বসুন্দিয়ার কারুজ্জামান, ইছালীর কামরুজ্জামান, ভাতুড়িয়ার ইকরামুল কবির, গোবরা এনায়েতপুরের দাউদ হোসেন, ছাতিয়ানতলার তারিকুজ্জামান, চাউলিয়ার মিকাইল হোসেন, শাখারিগাতির রবিউল ইসলাম, শহরের বারান্দীপাড়া ফুলতলার শরীফ ও বেজপাড়া চোপদার পাড়ার হাসানুজ্জামান হানিফ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গোপন সূত্রে তালবাড়িয়া ক্যাম্পের পুলিশ জানতে পারে বেগম খালেদা জিয়া ও দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে ইউনিয়নে পদযাত্রার নামে কিসমত নওয়াপাড়ার মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা, ইটপাটকেল, লোহার রড ও বোমা নিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছোটাছুটি করতে থাকে। ধাওয়া করে পুলিশ তখন ৫ জনকে আটক করে। উদ্ধার করা হয় ৪টি ককটেল, বাঁশের লাঠি ও লোহার রড।
এ ঘটনায় নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে কোতয়ালি থানায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন এসআই একরামুল হুদা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত চারজনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।