বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদের রাজস্বকরণ ও আউটসোর্সিং বাতিলসহ ৫দফা দাবিতে যশোরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শিক্ষক কেয়ারটেকার ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে কালেক্টর চত্বরের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সহস্রাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি অংশগ্রহণ করেন।
মানবববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে সারা দেশের মসজিদ কাঠামো ব্যবহার করে দারিদ্র সুবিধা বঞ্চিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদেরকে বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ, কিশোর কিশোরী ও বয়স্কদের পবিত্র কুরআন শিক্ষা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মুল্যবোধ শিক্ষা দিয়ে আসছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, আলেম ওলামা ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত বেকার নারী ও পুরুষের দারিদ্রতা দুরিকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দুটি প্রকল্পে নিয়োগকৃতদের রাজস্ব খাতে নিলেও বাকি ৫টি প্রকল্পের জনবল রাজস্ব খাতের বাইরে রয়েছে। ৩২ বছর ধরে চলমান প্রকল্পে কখনো বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি। এখন সংশ্লিষ্টরা আউটসোর্সিংয়ের চিন্তা করছে। তাই অনতি বিলম্বে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারিদের রাজস্বকরণ করে ঈদের আগে বেতন ভাতা প্রদানের পাশাপাশি রাজস্বখাতে নিয়োগ করার দাবি জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। একই সাথে দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক প্রতিনিধি আদম আলী, খন্দকার মাসুদুজ্জামান, সাধারণ কেয়ারটেকার শিবলী সাদিক, আব্দুল আজিজ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান লাল্টু, মডেল কেয়ারটেকার আব্দুর রহমান, তাহাজ্জুত, আতাউর রহমান, ফিল্ড সুপারভাইজার মো. শাহাজাহান, আশিকুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, ফাইজার রহমান, সোলাইমান।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
স্মারকলিপি গ্রহণের পর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, আপনাদের পূর্বের বিভিন্ন দাবি নিয়ে আমরা সরকারের সাথে কথা বলেছি। সরকার আপনাদের চাকুরির বিষয়টি রাজস্ব ক্ষাতে বা প্রকল্প আকারে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আমরা আপনাদের স্মারকলিপি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করলাম। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবো।