বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, আমরা ভেবেছিলাম বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনা সাময়িক হবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আরও কিছুদিন চলতে পারে।
এ কারণে শহরে মহল্লা ও গ্রামে গ্রাম সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটিতে বিএনপির পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা, আন্দোলনকারী ছাত্রদের প্রতিনিধি, সামাজিক ও পেশাজীবী নেতারা থাকবেন।
এই কমিটি স্ব স্ব এলাকায় পাহারা দেবে যাতে কোনোভাবেই কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে। শিগগিরই প্রত্যেকটি মহল্লা ও গ্রামে সুরক্ষা কমিটি গঠন সম্পন্ন হবে। রোববার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন ।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ১৫দিন কিংবা এক ম্যাসব্যাপি একটি অভিযান চালানো উচিত। আমি মনে করে সমাজের সর্বস্তরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা উচিত। ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ নেতাদের লালিত পালিত কিশোর গ্যাং মাথাচাড়া দিচ্ছে।
ফিরে আসছে এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। তাদের আশ্রয়দাতার আত্মগোপনে থাকলেও তারা তৎপর রয়েছে।
যশোরে হোটেল জাবিরে আগুন দেয়ার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যশোরে হিন্দু সম্প্রদায়সহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাত জেগে পাহারা দিয়েছে। তারপরও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এটি ১৭ বছরের অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিক্রিয়া।
বিএনপির হাতে ত প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই যে, চাইলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তারপরও চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মোহাম্মদ ইসহক, মিজানুর রহমান খান, মারুফুল ইসলাম, গোলাম রেজা দুলু, আনিছুর রহমান মুকুল, সিরাজুল ইসলাম, মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু প্রমুখ।