বিবি প্রতিবেদক
যশোরে মাংস বিক্রেতা রিপন হোসেন দিপু হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের পিতা শহরতলীর শেখহাটি গ্রামের পূর্বপাড়ার রফিকুল ইসলাম মনু ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মামলায় আলীম হোসেন রানা (২৮) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। রানা একই এলাকার বাসিন্দা।
এই মামলার পলাতক অন্য আসামিরা হলো, একই এলাকার রাব্বি (২৮), আসাদুল ইসমলাম (২৯), তাজু (৩৩)।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে রিপন হোসেন দিপু নিজে রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিল। কয়েকজনের সাথে কিছু টাকা দিয়ে মাংসের পার্টনারশিপে ব্যবসা করতো। মাস খানেক আগে তাদের বাড়ির পাশে বাবুর একটি গরু জবাইয়ের চুক্তি হয় দিপুসহ তিনজনের সাথে। বাকি দুইজন হলো আসামি রাব্বি ও ওই এলাকার সাঈদ। কাজ শেষে দিপুর ভাগের এক হাজার টাকা রাব্বি নিজের কাছে রাখে। ওই টাকা দিতে রাব্বি বিভিন্ন সময় ঘুরাতে থাকে। টাকা চাওয়ায় তাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। গত ১৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাবিব তার বাড়িতে যায় দিপুকে খোঁজ করতে। ওই সময় বাড়িতে না থাকায় সে চলে যায়। ওই দিন দিবাগত রাত ১টার দিকে দিপু জামরুলতলা বাজারে কামরুলের চার্জারের দোকান থেকে বাড়িতে ফেরার পতে রাত সোয়া একটার দিকে মুন্সির বাঁশতলা নামক স্থানে পৌছালে পথরোধ করা হয়। এক পর্যায়ে রব মুন্সির মেহগনি বাগানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। অন্য আসামিরাও লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে। এ সমময় তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে দিপু মারা যায়।
তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই একরামুল হুদা জানিয়েছেন, এই মামলা হওয়ার পর গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর শহরের কালেক্টরেট মার্কেট থেকে আসামি আব্দুল আলীম ওরফে রানা হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version