বিবি প্রতিবেদক
নির্বাচচী ডামাডোলের মধ্যেই সারাদেশের সাথে নতুন বছরের প্রথম দিন বই উৎসবের জন্য প্রস্তুত যশোর শিক্ষা বিভাগ। এরই মধ্যে জেলার আট উপজেলায় পৌঁছেছে প্রাথমিকের শতভাগ আর মাধ্যমিক পর্যায়ের ৭৩ শতাংশ বই। সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার বাড়তি নিরাপত্তায় উপজেলাতে পৌঁছানো হয়েছে নতুন বই। পৌঁছে যাচ্ছে স্কুলগুলোতেও। ১ জানুয়ারি দেশব্যাপি বই উৎসব।
এদিকে, প্রাথমিকে শতভাগ বই পৌছালেও মাধ্যমিকে এখনো বাকি ২৭ শতাংশ বই। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী রোববারই শেষ কর্মদিবস। তার পরের দিনই বই উৎসব। ফলে ১ জানুয়ারি বই উৎসবে প্রাথমিকে সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিতে পারলেও; মাধ্যমিকে তুলে দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা।
সদর উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করে জানান, গেল বছর ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বিদ্যালয়ে শতভাগ পাঠ্যবই পৌঁছে গিয়েছিল। এবার ২৮ ডিসেম্বর পেরিয়ে গেলেও ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য মতে, যশোরে প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫১ টি। চাহিদার শতভাগ বই জেলায় এসেছে। জেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে যশোর জেলায় মাধ্যমিক, দাখিল, এবতেদায়ি, এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালে বইয়ের চাহিদা ৩৬ লাখ ৮১হাজার ২৪৪ টির মধ্যে ২৮ লাখ ০৫ হাজার ৫৪ টি বই প্রাপ্ত এবং বিতরণ করা হয়েছে ২৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৮ টি।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় প্রাথমিকে চাহিদা ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭০ টি, শার্শা উপজেলায় প্রাথমিকে চাহিদা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৫ টি, মণিরামপুর উপজেলায় প্রাথমিকে চাহিদা ২ লাখ ১ হাজার ৬৭৮টি, বাঘারপাড়া উপজেলায় প্রাথমিকে চাহিদা ৮৭ হাজার ৪৫০টি, ঝিকরগাছা উপজেলায় প্রাথমিকে চাহিদা ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৫টি, চৌগাছা উপজেলায় প্রাথমিকে চাহিদা ১ লাখ ১০ হাজার ৫৯৮টি, কেশবপুর উপজেলায় প্রাথমিকে চাহিদা ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৩০ টি, অভয়নগর উপজেলায় প্রাথমিকে চাহিদা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৫৫টি। এছাড়াও মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বই শতভাগ এসেছে। তবে সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি বই এসেছে চাহিদার ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ। এদিকে ৮ম শ্রেণির ইংরেজি ও নবম শ্রেণির কোনো বই এখনো আসেনি। এদিকে ইবতেদায়ি শ্রেণিতে চাহিদার সকল বই এসেছে। যার চাহিদার ৯৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বই বিতারণ করা হয়েছে। এছাড়াও দাখিলের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে বাংলা বই এসেছে চাহির ১৭ শতাংশ, দাখিল। সপ্তম শ্রেণির বাংলা বই এসেছে চাহিদার শতভাগ, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির বাংলা বই এসেছে চাহিদার ৬০ ও ৫৪ শতাংশ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী আহসান বলেন, ‘শতভাগ বই আমরা পেয়ে গেছি। শুধু আমরা না, সব বই স্কুলে স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বছর বই পরিবহনে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বই পরিবহনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন বলেন, মাধ্যমিকের বাকি থাকা ২৭ শতাংশ বইও নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছানোর আশা করছি। আর তাতে ১ জানুয়ারি আগের মতোই বই উৎসবের প্রস্তুতি রয়েছে।
শিরোনাম:
- বিবর্তন যশোরের ৩৫ বছর পূর্তি দুই দিনের নাট্যমেলা সমাপ্ত
- যশোরে জাতীয় নারী জোট নেত্রীর শোকসভা
- দুই দিনব্যাপি পঞ্চকবির গানের আসর সমাপ্ত
- বিএনপি নেতা ছোটলু বহিস্কার
- ক্ষমা চেয়েও প্রাণে রক্ষা পেলেন না যুবদলকর্মী
- সাতক্ষীরা সীমান্তে এক কেজি স্বর্ণসহ আটক ১
- কালীগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতিকে কুপিয়ে জখম
- ‘কৃষি’র জন্য সেচ না বলায় ইউনিট প্রতি দর বেশি প্রায় সাড়ে ৪ টাকা!