বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মার্চ মাসে ঐতিহাসিক চারটি দিবস পালনের জন্য প্রস্তুতি সভা করেছে যশোর প্রশাসন। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট’র সভাকক্ষে প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফিরোজ কবীর, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, মুক্তিযুদ্ধের মুজিব বাহিনীর বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের প্রধান আলী হোসেন মনি, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এইচএম মুজহারুল ইসলাম মন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক একরাম-উদ-দ্দৌলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সবুর হেলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরেরর উপপরিচালক রফিকুল হাসান।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের সেই দিনটি স্মরণে সকাল সাড়ে আটটায় শহরের বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও ১০টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে শিশু একাডেমির আয়োজনে এবং শিশুদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে সকালে শহরের বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল সাড়ে দশটায় আলোচনা সভা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা করবে। জেলা তথ্য অফিস প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাতটায় চাঁচড়ায় বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হবে। রাত সাড়ে দশটায় এক মিনিট ব্ল্যাকআউট করা হবে। ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনি, সকল সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে আটটায় স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা করবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় যশোর টাউন হল মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দির ও উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। হাসপাতাল, শিশু পরিবার ও কেন্দ্রীয় কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।