বাংলার ভোর প্রতিবেদক
নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে যশোর পৌরসভার এসএনভি প্রজেক্টের আওতায় “ নিরাপদ সেফটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল নির্মাণের কলাকৌশল এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসরণ ”- শীর্ষক তিন দিনব্যাপি রাজমিস্ত্রীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা গতকাল শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষে মুসলিম এইড পলিটেকনিক কলেজ যশোর ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ। কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএনভি প্রজেক্টের সিটি কো-অর্ডিনেটর শেখ লুৎফর রহমান কবির। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন কলেজের সিভিল ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আশিফ উল্লাহ চৌধুরী জুয়েল। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলেজের রেজিস্ট্রার সাংবাদিক নূর ইসলাম ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, যশোর পৌরসভা বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাচীনতম পৌরসভা। এই পৌরসভার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সর্বজনবিদিত। কিন্তু পৌর আইন ও শৃঙ্খলা না মানার কারণে দিন দিন এই পৌরসভার শ্রীহানি ঘটছে। পৌর নাগরিকরা তাদের কাঙ্খিত সেবা থকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সামান্য বর্ষায় পৌরসভার এক-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে যায়। রাস্তাঘাট ও ড্রেন পয়:নিষ্কাশনের অনুপোযুক্ত হয়ে পড়ে। জনগণ চলাচল করতে পারে না। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। পৌর আইন ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে সবাইকে বাড়িঘর নির্মাণ করতে হবে। প্রতিটি বিল্ডিং এ প্রয়োজনীয় আধুনিক মানের সেফটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল নির্মাণ করতে হবে। তাহলে একদিন এই পৌরসভার পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা সন্তোষজনক হারে বৃদ্ধি পাবে।
পরে তিন দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ২০ জন রাজমিস্ত্রীর হাতে সনদপত্র তুলে দেন পৌর মেয়রসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে এসএনভি প্রজেক্টের আওতায় যশোর মুসলিম এইড পলিটেকনিক কলেজ যশোর ও বেনাপোল পৌরসভার সহযোগিতায় ৮০জন রাজমিস্ত্রীকে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করে।