বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের অকুতোভয় সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল’র হত্যাকারীরা আড়াই দশকেও চিহ্নিত হয়নি। প্রথিতযশা এই সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডের বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশার মধ্য দিয়ে বুধবার নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ২৫তম বার্ষিকী পালন করেছে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও স্বজনেরা।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে কালো ব্যাজ ধারণ ও শহিদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রেসক্লাব যশোর, সংবাদপত্র পরিষদ যশোর, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। পরে প্রেসক্লাবে শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও স্মরণ সভা করে প্রেসক্লাব যশোর ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ-দ্দৌলা, শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের ভাই যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন জেইউজে সভাপতি সাজেদ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদ, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দীনু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ আলম, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন যশোরের সভাপতি গোপীনাথ দাস ও সাধারণ সম্পাদক এমআর খান মিলন প্রমুখ। পরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন জেইউজে স্মরণ সভার আয়োজন করে।
পরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন জেইউজে স্মরণ সভার আয়োজন করে। জেইউজে সভাপতি সাজেদ রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ-দ্দৌলা, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন অর রশিদ, ইউসিবি ব্যাংকের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ফকির আকতারুল আলম, জেইউজে সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান মামুন, সাজ্জাদ গনি খান রিমন, মনোতোষ বসু, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মুনির প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন।
উল্লেখ্য, প্রথিতযশা সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল ২০০০ সালের ১৬ জুলাই রাতে জনকন্ঠ যশোর অফিসে কর্মরত অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।
আলোচিত ও লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম পাঁচ বছর মামলার কার্যক্রম চললেও গত ২০ বছর ধরে তা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। আইনের মারপ্যাঁচে মামলাটি উচ্চ আদালতে আটকে আছে। উচ্চ আদালতের এই জট ছাড়াতে বারবার সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ধর্ণা দিয়েও কোনো ফল মেলেনি।