বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিদেশ পাঠানোর নামে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে উধাও স্বামী। ভুক্তভোগীরা পাওনা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে স্ত্রীকে। অথচ স্ত্রী এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এজন্য প্রতারক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্যামলী নামে এক নারী।
যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা শ্যামলী খাতুন অভিযোগ করেন, যশোরের শংকরপুরের রনজু নামে এক ব্যক্তির বিদেশ পাঠানোর নামে বহু মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । এর মধ্যে শুভ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৯ লাখ, সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ৪০ লাখ, সাহেব আলীর কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ও রুবেল নামে আরও এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রনজু। এসব টাকার জন্য এখন স্ত্রী শ্যামলীর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা।
শ্যামলী আরও অভিযোগ করেন, একজন গৃহিনী স্ত্রীর পক্ষে এত টাকা পরিশোধের সামর্থ্য নেই তার। এসব নিয়ে কথা বললে রঞ্জু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। রঞ্জু বিশাল একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে ঢাকার রাজু, সিদ্দিক, আলম ও নুর ইসলাম, আলমডাঙার শিপন মেম্বার ও ঢাকা মতিঝিলের আনোয়ার। এই চক্রটি সংঘবদ্ধ ভাবে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। রঞ্জু আপন চাচা সালামকে খুন করে তার স্ত্রী রিনা বেগমকে বিয়ে করেছেন বলেও অভিযোগ করেন স্ত্রী শ্যামলী।
বর্তমানে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা শ্যামলীকে পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু রঞ্জু দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘাঁটি গেড়ে চাচি রিনা বেগমকে নিয়ে মানব পাচার সিন্ডিকেট পরিচালনা করছেন। এ অবস্থায় চিহিৃত এই প্রতারক ও মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান শ্যামলী।
তিনি আরও বলেন, এমনিতে আমার সংসার ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। তারপর পাওনাদারদের চাপ নিতে পারছেন না শ্যামলী।