বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে অভয়নগরের নওয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার সড়ক অবরোধ হয়েছে। অভয়নগর উপজেলাধীন যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেঙ্গল গেইট এলাকায় অভয়নগরের নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকেরা রাস্তায় অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় যশোর-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে অভয়নগর উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিন অধিকারী ব্যাচা ও অভয়নগর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে বেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় ও বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেছেন, অভয়নগর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্ন সময়ে যশোর-খুলনা মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন ঢালাওভাবে ওভারলোডিং দেখিয়ে মামলা ও জরিমানা আদায় করে থাকেন। সম্প্রতি ওই সার্জেন্টের মামলা দেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্থ আদায় ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যাওয়ায় পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে এ অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।
শ্রমিকরা আরো জানান, সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে মাগুরা-১ আসনের একজন সাবেক সাংসদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চান। যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া অন্যতম শিল্প প্রধান এলাকা। এছাড়া এলাকাটি দেশের অন্যতম বৃহত্তম সারের মোকাম। সার, কয়লা ও পাথর সহ বিভিন্ন পন্য নওয়াপাড়া থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন হয়ে থাকে। এছাড়া যশোর-খুলনা মহাসড়কটি (এন-৭) দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। বিভিন্ন পন্যবাহী পরিবহন ওভার লোড করে যশোর-খুলনা মহাসড়কে চলাচল করে থাকে। তবে হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ঢালাওভাবে পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন বলে পরিবহন শ্রমিক ও চালকরা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অভয়নগর এর নওয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন সারাদেশে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান চলছে সেই হিসেবে যশোরও ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেন বিস্তারিত কিছু জানতে হলে আমাদের উপরের স্যারকে ফোন দিতে হবে এবং জানতে হবে। এর বেশি তিনি জানাতে পারবেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে যশোর হাইওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের কাছে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।