বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেনারেল হাসপাতালের গেটসহ আশপাশের এলাকায় গত সেপ্টেম্বর মাসে উচ্ছেদ অভিযান করে যশোর পৌরসভা ও ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযানের পর ওই সব এলাকায় পুনরায় অবৈধ দোকানপাট বসতে শুরু করেছে। উচ্ছেদের এক সপ্তাহ পার না হতেই হাসপাতালের তিনটি গেটে অন্তত ১৬টি দোকান বসেছে। এতে যানজট ও পথচারীদের চলাচলে ফের বিঘ্ন ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে, একটি রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে কতিপয় লোক অবৈধভাবে দোকান বসানোর অনুমতি দিয়ে দৈনিক ভাড়া তুলছে।
জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর পৌরসভা ও ট্রাফিক বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের তিনটি গেটসংলগ্ন এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। ফুটপাত দখল করে রাখা দোকানের মাচা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এই অভিযানের পর ওই এলাকায় যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল। পথচারীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছিল। তবে, উচ্ছেদের সপ্তাহখানেক পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে কতিপয় লোক সরকারি জায়গায় এই অবৈধ দোকানপাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে। শুধু অনুমতিই নয়, দোকানের আকারভেদে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ স্থাপনা থেকে অর্থ উপার্জনের এই প্রক্রিয়ায় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকানদার জানিয়েছেন, তারা অনেক দিন ধরে এখানে ব্যবসা করছেন। অনেকের কাছে তাদের টাকা-পয়সা বাকি রয়েছে। যে কারণে দৈনিক ভাড়া দিয়েই হলেও তাদের ব্যবসা করতে হচ্ছে।
যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল হোসেন জানান, উচ্ছেদ করার পরপরই আবার যা তাই হয়ে যায়। কারা ভাড়ার টাকা তুলছে বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।
এ বিষয়ে যশোর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। উচ্ছেদ করেছে যশোর পৌরসভা।
এ বিষয়ে জানতে যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। পরবর্তীতে তাকে কল করা এবং খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।