Close Menu
banglarbhore.com
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
Facebook X (Twitter) Instagram
শিরোনাম:
  • মনিরামপুরের গোপালপুরে ধানের শীষের পক্ষে প্রচার মিছিল ও লিফলেট বিতরণ
  • দেশ রক্ষায় জনগণকে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে – শিমুল বিশ্বাস
  • কমরেড গুলজার না ফেরার দেশে!
  • প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত বাংলার ভোর, সত্য প্রকাশে অবিচল থাকার প্রত্যয়
  • আজ যশোর আইনজীবী সমিতির নির্বাচন
  • তিন বছরে বাংলার ভোর
  • যশোরে আটক প্রতারক আব্দুস সালাম আদালত থেকে জামিনে মুক্ত
  • পোফ যশোরের উদ্যোগে তামাক কর নীতি বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
Facebook X (Twitter) Instagram
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
banglarbhore.combanglarbhore.com
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
শুক্রবার, নভেম্বর ২৮
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
banglarbhore.com
দক্ষিণ-পশ্চিম

রহিমার প্রেমের টানে নিভৃতপল্লীর বাসিন্দা আমেরিকার মার্ক হোগল

banglarbhoreBy banglarbhoreএপ্রিল ২০, ২০২৫No Comments
Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
Share
Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

এস এম জালাল
ভালোবেসে সখী, নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখো-তোমার মনের মন্দিরে’- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের এই গান যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে কেশবপুরের নিভৃতপল্লী মেহেরপুরে বাঙালি নারী রহিমা ও মার্কিন প্রকৌশলী ক্রিস্টফার মার্ক হোগল দম্পতির জীবনে। একজন ভিনদেশি নাগরিক, যার ভাষা ও সংস্কৃতি ভিন্ন, দীর্ঘদিন তার সঙ্গে অজপাড়াগাঁয়ে রয়েছেন, বিষয়টি দুজনে কীভাবে মানিয়ে নিয়েছেন গ্রাম বাংলার পরিবেশের সাথে। তার মধ্যে কোনও অহংকার নেই। একজন চাষির মতোই মাঠে কাজ করেন। শাকসবজি চাষাবাদ, কৃষিকাজ ও গরু-ছাগল লালন পালন থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজ হাতে করেন। কোনও কাজেই অস্বস্তিবোধ করেন না। গ্রামের জীবনযাত্রা, ভাষা ও সংস্কৃতি এবং পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে স্বাভাবিকভাবেই মানিয়ে নিয়েছেন হোগল।

রহিমা খাতুন কেশবপুরের মেহেরপুর গ্রামের মেয়ে। তার প্রেমে পড়ে আমেরিকার পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস্টফার মার্ক হোগল এখন কেশবপুরের অজপাড়াগা মেহেরপুর গ্রামে এসে বসবাস করছেন। ভালোবেসে রহিমাকে বিয়ে করেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস হোগল ওরফে মো. আইয়ুব আলী। সেই থেকে একসঙ্গে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

সরেজমিন দেখা যায়, ভবনটি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। প্রধান গেট সুরক্ষিত। এ ভবনের নিচেই হোগেল নিজেই ধানের কাজ করছেন। গরুর জন্য ঘাস কাটছেন। রয়েছে গরু-ছাগলের খামার। সেখানে ১৩টি গরু ও ২৩টি ছাগল রয়েছে, ২০০’র দেশি মুরগি, ২৫ টি হাঁস লালনপালন করছেন। হোগল ভালোবেসে তিনটি কুকুর পুষছেন। সেগুলো চীন থেকে এনেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অতিবাহিত করতে কেশবপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা মেহেরপুরে নির্মাণ করেছেন একটি ভবন। ২০ তলা ফাউণ্ডেশনের চারতলা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করেছেন। ভবনটিকে এখন ‘রহিমা-হোগল উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন হসপিটাল’ করতে চাচ্ছেন এ দম্পতি।

হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগের বিষয়ে ক্রিস হোগল বলেন, ‘দীর্ঘদিন এখানে বসবাসের মধ্য দিয়ে জানতে পারলাম, এই এলাকাসহ আশপাশের নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা পেতে বেগ পেতে হয়। মূলত তখনই হাসপাতাল তৈরির চিন্তা মাথায় আসে। সেই চিন্তা থেকে রহিমার পৈত্রিকভিটার দুই বিঘার বেশি জমিতে ভবন নির্মাণ শুরু করি। চারতলা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করেছি। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করতে চেয়েছিলাম। এখনো অনুমোদন হয়নি এবং অর্থ সংকটের কারণে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ থেমে গেছে।

হোগল জানান, চায়নার একটি কোম্পানিতে তার নিজস্ব কিছু শেয়ার আছে, দ্রুত সেগুলো বিক্রি করে দেবেন। শেয়ার বিক্রি শেষ হলেই হসপিটালে নির্মাণ কাজ শুরু করবেন। হসপিটাল নির্মাণ করে তিনি যশোরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান।

হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে রহিমা খাতুন বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম ভবনটিতে আমরা বসবাস করবো। সে কারণে প্রচুর টাকা খরচ করে ভবনটি নির্মাণ করি। কিন্তু পরে গ্রাম ও আশপাশের মানুষের চিকিৎসাসেবার কথা ভেবে হাসপাতাল বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিঃসন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ। প্রত্যন্ত গ্রামে হাসপাতাল নির্মাণ হলে এই অঞ্চলের মানুষকে চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হবে না।’

নিজেদের জীবনযাপন, সন্তানদের লালনপালন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে রহিমা-হোগল দম্পতির সঙ্গে কথা হয়। এরপর তারা গরুর ঘাস কাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দীর্ঘ আলাপচারিতায় বারবারই বলার চেষ্টা করেছেন, গ্রামের মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য কিছু করতে পারলেই সার্থক হবে তাদের ভালোবাসা।
ভবনের এক পাশে গড়েছেন মাজার। যেখানে শায়িত আছেন রহিমার বাবা আবুল খাঁ। নান্দনিকভাবে তৈরি করা মাজারের চারপাশে সারিবদ্ধভাবে লাগানো রয়েছে ফুল গাছ।

রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমরা এখানে সাড়ে তিন বিঘা ফসলি জমি কিনেছি। জমি থেকে যে ধান হয়, তাতে সংসার চলে। চাল কেনা লাগে না। শাকসবজি নিজেরাই চাষ করি।’

ক্রিস হোগলের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে, পেশায় পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। ভারতের মুম্বাই শহরে থাকতেন। অনিল আম্বানির রিলায়েন্স ন্যাচারাল রিসোর্সেস লিমিটেড কোম্পানিতে পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন। হঠাৎ মুম্বাই শহরে একদিন রহিমার সঙ্গে দেখা হয় তার।

নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে রহিমা খাতুন বলেন, ‘শৈশবে আমার বাবা আবুল খাঁ ও মা নেছারুন নেছার হাত ধরে ভারতে যাই। পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে আমার মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। বাবা শ্রমিকের কাজ করতেন। বারাসাতের বস্তিতে থাকতাম। ১৪ বছর বয়সে বাবা আমাকে বিয়ে দেন। জমিও কিনেছিলাম সেখানে। তিন সন্তানের মা হই। কিন্তু সংসারে অভাব দেখা দেয়ায় স্বামী জমি বিক্রি করে দেন। আমাকে একা ফেলে স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে যান। জীবিকার সন্ধানে মুম্বাই শহরে চলে যাই। আশ্রয় নিই এক আত্মীয়ের বাসায়। সেখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এরই মধ্যে বাবা-মা কেশবপুরে চলে আসেন।

‘২০০৯ সালের শেষের দিকে হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় মুম্বাই শহরের রাস্তায় হোগলের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেদিন আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন হোগল। হিন্দিতে দু’একটি কথা বলার চেষ্টা করেছি। সেখান থেকে তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যাই। এরপর আবার দেখা হয়। তখন বিয়ের কথা বলেন হোগল। পরিচয়ের ছয় মাস পর ২০১০ সালের ১০ এপ্রিল বিয়ে করি আমরা। দেনমোহর ধরা হয় ৭৮৬ ডলার’, বলছিলেন রহিমা খাতুন।
তিনি বলেন, ‘বিয়ের তিন বছর পর কর্মসূত্রে হোগল আমাকে নিয়ে চীনে যান। সেখানে পাঁচ বছর ছিলাম। এরপর কেশবপুরে বাবার বাড়িতে ফিরে আসি। এখানে ফিরে আসার পর বাবা মারা যান। বাড়ির ভেতরে তাকে কবর দেয়া হয়। মা এখনও জীবিত। প্রথম স্বামীর তিন সন্তান আমাদের সঙ্গেই থাকে। আর কোনও সন্তান নেই। আমরা সুখে আছি, ভালো আছি।’

আমেরিকার তৈরির থমকে আছে মার্ক হোগল স্বপ্ন হাসপাতাল
Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
banglarbhore
  • Website

Related Posts

মনিরামপুরের গোপালপুরে ধানের শীষের পক্ষে প্রচার মিছিল ও লিফলেট বিতরণ

নভেম্বর ২৮, ২০২৫

দেশ রক্ষায় জনগণকে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে – শিমুল বিশ্বাস

নভেম্বর ২৮, ২০২৫

কমরেড গুলজার না ফেরার দেশে!

নভেম্বর ২৮, ২০২৫
Leave A Reply Cancel Reply

You must be logged in to post a comment.

সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন

উপদেষ্টা সম্পাদক : হারুন অর রশীদ

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মেজর (অব.) এবিএম আমিনুল ইসলাম

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ডিডি এনএসআই (অব.) মুফাজ্জেল হোসেন

নির্বাহী সম্পাদক : সৈয়দা নাজমুন নাহার শশী

প্রকাশক কর্তৃক মান্নান প্রিন্টিং প্রেস এর তত্ত্বাবধানে সম্পাদকীয় কার্যালয় ডি-৩০ নতুন উপশহর এবং বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৯ মুজিব সড়ক, যশোর থেকে প্রকাশিত।

মোবাইল: ০১৯০১-৪৬০৫১০-১৯ | ফোন: ০২৪৭৮৮৫১৩৮৬

ই-মেইল: banglarbhorenews@gmail.com

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.