রাজগঞ্জ সংবাদদাতা
দ্রব্যমূল্য দিন দিন লাগামহীন হয়ে ওঠায় ভালো নেই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যে হারে আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে, সে অনুপাতে বাড়ছে না তাদের আয়। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জীবনযাপনে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। মাসিক আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলাতে পারছেন না তারা।
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়নের বাসিন্দা মুসফিকুর রহমান জানান, ৫-৭ হাজার টাকা আয় রোজগার করে আর চলে না। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে মাসিক ৭ হাজার টাকা বেতন পান। দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হাতের নাগাল ছাড়িয়ে যাওয়ায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলছে না তার। এতে সে দিন দিন ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। পরিবারে চারজন সদস্য নিয়ে খুব বিপদে আছি।
রাজগঞ্জ এলাকার আরেক বাসিন্দা মাহতাব হোসেন বলেন- দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করি। সীমিত টাকা বেতন পাই। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে দিন দিন আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পাল্লা ভারি হচ্ছে। মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ৫ সদস্যদের সংসার খরচের জোগান দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছি। আশিকুর রহমান (দিনমজুর) রাজগঞ্জের মোকাবরকপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রী সন্তান নিয়ে ৬ সদস্যের সংসার তার। প্রতিদিন হাতে কাজ থাকে না তার। বাজারে জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বাড়ায় সংসারের ঘানি টানতে কষ্ট হচ্ছে তার। তিনি বলেন- বাজারে গেলে জিনিসপত্রের দাম শুনে মাথা ঘুরে যায়।
যে টাকা নিয়ে বাজারে যাই তাতে সংসারের চাহিদা অনুযায়ি বাজার আনতে পারি না। পেটের ক্ষুধা তো এতকিছু বোঝে না। ছেলেপুলে নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছি। সোমবার (০৮ জুলাই) দুপুরে রাজগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে- সবজি বাজারে সবজি অনেক কম।
যা উঠেছে, তার দাম অনেক বেশি। এদিন বাজারে কঁচুরমুখি-১০০ টাকা, বেগুন ১৫০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা, রসুন ২৫০ টাকা, কাঁচা ঝাল-৩০০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যা নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।