রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
রাজগঞ্জ অঞ্চলে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে দিয়ে চলছে বোরো ধান কাটার মহোৎসব। কিন্তু প্রচণ্ড তাপদহ উপেক্ষা করে রাজগঞ্জ অঞ্চলে চাষিরা ক্ষেত থেকে পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এই মহাব্যস্ত সময়ে হাজার টচাকায়ও মিলছে না কিষেণ।
ধান কাটা ঝাড়ার জন্য প্রচণ্ড রোদে, দিনমজুরের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, এছাড়া মজুরি বেশি হওয়ায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। এক দিনের কিষেনের মুজুরি দিতে হচ্ছে সাড়ে ৮০০টাকা থেকে ১২০০টাকা। এতে করে ধানের ফলন ভালো হলেও স্বস্তিতে নেই গৃহস্থ। কৃষি শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় মাঠের পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিনপার করছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নেংগুড়াহাট, রাজগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সকালে চাষিরা ধান কাটছেন এবং ঘরে তুলছেন। এদিকে ধানের হতাশ কৃষক। ধান উৎপাদন খরচ তুলতে পারবেন কি না এমন দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে মাঠে ধান কাটছেন তারা। কৃষকরা বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে কাটা-ঝাড়া পর্যন্ত খরচ পড়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে কৃষক ধান পাবেন ৩০ থেকে ৩৫মণ। সে তুলনায় কৃষক এবার বিঘা প্রতি পাবেন ৩৫ থেকে ৪০হাজার টাকা। রন্তেশ্বাহপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মতিয়ার রহমান বলেন, আমি পাঁচবিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আশা করছি ৫বিঘা জমিতে ধান পাাবো ১৭৫মণ। বাজারে ধানের দাম কম থাকায় লাভবান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ধান কাটার জোনের দাম, সার ও কীটনাশসহ প্রয়োজনীয় সকল উপকরণের দাম বেশি। শুধু ধানের দাম কম। প্রতি মণ ধানের দাম ১২০০টাকা আর একজন জোনের প্রতিদিনের মজুরি ১২০০টাকা। বর্গা চাষি মোবারক হোসেন বলেন,লাভের আশায় ইরি ধান চাষ করে ছিলাম। ধান চাষে যে খরচ ধান কাটার মৌসুমের সময় জোনের যে দাম তাতে খরচ ওঠানোই সম্ভব নয়।
মনিরামপুর উপজেলা চালুয়াহাটি ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা মারুফুল হকও হাবিবুর রহমান বলেন,চলতি মৌসুমে। চালুয়াহাটি ইউনিয়ন ইরি ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, এক হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে। ধান চাষ করা হয়েছে ধানের ফলনও ভালো হয়েছে ধান কাটার শেষ সময় পর্যন্ত প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে কৃষক নিশ্চিত লাভবান হবেন।