কালীগঞ্জ সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একটি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে এক বছর আগে রাস্তা খোঁড়ার পর কাজ বন্ধ রেখে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাত গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কালীগঞ্জ উপজেলার সিংগী বাজার থেকে মঙ্গলপৌতা বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

তিন কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণের কাজটি পায় মেসার্স মিজানুর রহমান নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে শুরু হয়ে চলতি বছরের মাঝামাঝি রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের প্রথম দিকে কাজ শুরু করে। প্রায় এক বছর খুঁড়ে রাখা রাস্তার আর কাজ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিন সড়কে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সিংগী বাজার থেকে মঙ্গলপৌতা বাজার পর্যন্ত সড়কের পুরোনো অংশ খুঁড়ে ফেলে রাখা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই নির্মাণ কাজ বন্ধ।

সড়কের বিভিন্ন স্থানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে এলাকার মানুষ কয়েক কিলোমিটার ঘুরে ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, ব্যাংক ও সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যাচ্ছেন।

জরুরি প্রয়োজনে এসব গ্রামে অ্যাম্বুলেন্সও প্রবেশ করতে পারছে না।

ভুক্তভোগী মেগুরখির্দ্দা গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হাসান বলেন, প্রায় এক বছর আগে রাস্তাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে।

গত বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ যানবাহন এসব গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না।

এতে অঞ্চলের মানুষকে প্রতিদিন নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের জুনে রাস্তাটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ সম্পন্ন না করে রাস্তাটি ফেলে রেখেছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিজানুর রহমানের স্বত্বাধিকারী মো. রানা বলেন, দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারণে তিনি কাজ চালিয়ে যেতে পারেননি।

শিগগিরই বাজারে নতুন ইট উঠলে রাস্তাটির ফেলে রাখা কাজ সম্পন্ন করবেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সৈয়দ শাহরিয়ার আকাশ বলেন, ঠিকাদারকে বারবার চিঠি পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তারা করণীয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।

কালীগঞ্জ ইউএনও রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, এ বিষয়ে তার জানা ছিল না।

শিগগিরই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version