বাংলার ভোর প্রতিবেদক:
যশোরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক শতবর্ষী জেলা পরিষদ ভবনসহ সকল পুরাতন ভবন রক্ষার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার(৭ মে) সকাল ১১ টায় জনউদ্যোগ যশোরের উদ্যোগে কালেক্টরেট চত্বরে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচী শেষে জেলা পরিষদ ভবনসহ পুরাতন সকল ভবন রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাসান মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
জনউদ্যোগের আহবায়ক প্রকৌশলী নাজির আহমদের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, যশোর ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক প্রবীন সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌল্লাহ, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ- দৌল্লা, সিপিবি জেলা কমিটির সভাপতি এ্যাড. আবুল হোসেন, ট্রেড ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাধরণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মজনু, সনাক যশোরের সভাপতি শাহীন ইকবাল, যশোর রোড উন্নয়ন ও শতবর্ষী গাছ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক তসলিমুর রহমান, নারী নেত্রী আফরোজা বেগম, মহিলা পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. কামরুন নাহার কণা, যশোর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, যশোর নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক শেখ মাসুদুজ্জামান মিঠু, দৈনিক রানারের ডেপুটি এডিটর প্রণব দাস, যুবমৈত্রী জেলার সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস, গ্রাম থিয়াটারের জেলা সমন্বয়কারী হাসান হাফিজুর রহমান, আইইডি যশোর কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বীথিকা সরকার , জনউদ্যোগ সদস্য সচিব কিশোর কুমার কাজল প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তরা বলেন, মা বাবার বয়স হয়ে গেলে তাদের আর ঘরে রাখা যাবে না এমন সিদ্ধান্ত যেমন মানা যায় না তেমনি জেলা পরিষদ ভবন ভেক্সেগ ফেলার সিদ্ধান্তও মানার মত না। এই যশোর জেলা পরিষদ ভবনটি অবিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোরের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন। প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ১৯১৩ সালে ভবনটি নির্মিত হয়। ভবনটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক। সম্প্রতি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ভবনটি ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বক্তরা যশোরবাসীর পক্ষে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা আরও বলেন, জেলা পরিষদ ভবনসহ পুরানো সব ভবন ভেঙ্গে ফেলার এই সিদ্ধান্ত ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী এবং উদ্দেশ্য প্রণোদীত। যদি জেলা পরিষদ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয় তাহলে সেটা না ভেঙ্গে প্রয়োজনে সংস্কার করা হোক। এক্ষেত্রে মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সংষ্কার করে আগামি প্রজন্মকে যশোরের ইতিহাস জানার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে তারা মনে করেন। এছাড়া যশোরের পরিত্যক্ত রেজিস্ট্রি অফিস, জেলা জজ আদালত, পৌরসভার জলকল ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ও ইতিহাস ঐত্যিহের স্মারক। আবস্থান কর্মসূচিতে আগামি প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক এই ভবনগুলো সংস্কার করে, সংরক্ষণের জোর দাবি জানানো হয়।