বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলা এলাকার বাসিন্দারা রাস্তার ওপর রাখা একটি ডাস্টবিনের কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই ডাস্টবিনের ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। একই সাথে পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।

স্থানীয়রা জানান, বকুলতলার কদমতলা মোড়ের কাছে একটি নবনির্মিত দোকানের সামনে এই ডাস্টবিনটি রাখা হয়েছে। এর কারণে শুধু এলাকার ময়লা নয় পাশের টালিখোলা, কাঁঠালতলা এবং পালবাড়ি এলাকার ময়লাও এখানে ফেলা হচ্ছে।

এলাকাবাসী এই সমস্যার সমাধান চেয়ে যশোর পৌরসভায় একাধিকবার লিখিত অভিযোগ ও উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেছেন, ডাস্টবিনের ময়লা-আবর্জনা থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আশেপাশে কুকুর-বিড়াল ময়লা ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে। এতে ব্যবসার পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকিও দিন দিন বাড়ছে।

তবে, এই সব অভিযোগ ও উকিল নোটিশের পরও টনক নড়েনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তুহিন রেজা জানান, এই ডাস্টবিনটি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য হলেও বাইরের এলাকার ময়লাও এখানে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমরা নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নির্দিষ্ট এবং নিরাপদ দূরত্বে ডাস্টবিন বসানোর দাবি জানাই।

অন্য দুইজন বাসিন্দা আবুল কালাম ও ইজজাক হোসেন বলেন, এলাকায় দুর্গন্ধে চলাচল করা যায় না। ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সব ময়লা এখানে পড়ে। আশেপাশের স্কুলগুলোতে যাওয়া শিশুরাও অস্বস্তিতে থাকে।

শনিবার দুপুরে কদমতলা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দূর থেকে মানুষজন ডাস্টবিনে ময়লা ছুড়ে ফেলছে। গরু ডাস্টবিনে মুখ দিয়ে খাবার খুঁজছে। পথচারীরা নাকে কাপড় দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন।

এলাকাবাসীর পক্ষে পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ জানানো আশরাফুল ইসলাম জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ এবং উকিল নোটিশ পাঠানোর পরেও পৌরসভা থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

জনস্বার্থ ও এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য দ্রুত এই ডাস্টবিনটি অপসারণ বা স্থানান্তরের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানার জন্য যশোর পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী বিএম কামাল আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা হয়েছে কি না অফিসে না গিয়ে কিছু বলতে পারবেন না।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version