খাজুরা সংবাদদাতা
অনুষ্ঠানে অতিথিদের চেয়ারে বসা মসজিদের ইমাম ও মন্দিরের পুরোহিত। তাদের পাশে বসেছেন জামায়াত-বিএনপির নেতারা। বাদ যায়নি শিক্ষক, সাংবাদিক থেকে শুরু করে সমাজের সুধীজনেরা। আর দর্শক সারিতে গাঁ ঘেষে বসা বিভিন্ন ধর্ম ও মতের মানুষ মেতেছেন খোস গল্পে। এরই মধ্যে মাইকে বেজে উঠলো পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতাপাঠ।
রোববার এমনই আবহে সম্প্রীতি রক্ষায় এক হয়েছেন যশোরের খাজুরা এলাকার শত শত মানুষজন। এদিন মির্জাপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সভা মিলনমেলায় পরিণত হয়। হাতে হাত রেখে দেশে আবহমানকাল থেকে সম্প্রীতির যে ধারা বইছে সেটি বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হন সবাই।
বেলা ১১টায় মাইনোরিটিস নেটওয়ার্ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, খাজুরা ইসলামিয়া ফাজিল (স্নাতক) মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাও. ওবায়দুল্লাহ। বক্তৃতা করেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান খান, বন্দবিলা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান তপন, আঞ্চলিক জামায়াত নেতা মাও. হাফিজুর রহমান, সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক গোপিকান্ত সরকার, মির্জাপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী প্রভাষক মাহমুদ আক্তার, সেকেন্দারপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ জুবায়ের রহমান, খাজুরা কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দিরের পুরোহিত মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইমামুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী অ্যাড. নাহিদ ইসলাম ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা সুমন কর্মকর। সম্প্রীতি সভা পরিচালনা করেন, মাইনোরিটিস সিকিউরিটি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক অ্যাড. শিহাবুর রহমান।