বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের শার্শায় আফিল জুট উইভিং মিলে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় মিলের কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। রোববার সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আফিল জুট উইভিং মিলে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ কর্মচারী দিন মজুরের কাজ করে। তবে এ হামলার ঘটনায় কোন কর্মচারী আহত হয়নি।
আফিল জুট উইভিং মিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, রোববার সকালে হঠাৎ করে শতাধিক দুর্বৃত্তদের একটি দল মিলগেটে এসে হামলা চালায়।
মিল গেটের দরজা বন্ধ থাকায় দুর্বৃত্তরা গেট টপকে ভিতরে প্রবেশ করে। প্রথমে গেটের পাশের রুমসহ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করে। তারপর মালিক আফিলউদ্দীনের অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে। মিল ভাঙচুর করায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিরাপত্তার সার্থে আপাতত মিল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, সাধারণ শ্রমিকেরা জানান, এই মিলের কাজের উপরেই তাদের পরিবার নির্ভরশীল। এখন কিভাবে সংসার চলবে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
জানা যায়, ২০০৯ সালে এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নেতা শেখ আফিল উদ্দিন আফিল জুট উইভিং নামে এই মিল প্রতিষ্ঠা করেন শার্শায়। এতে আশপাশ এলাকার বেকার অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনিরুজ্জামান জানান, অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে জুট মিল এলাকা পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। কারা ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মালিক পক্ষের কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে তাদেরকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর এলাকায় যে সব হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে এরা বেশিরভাগ সুবিধাবাদী লোকজন।
আগে এরাই আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বিরোধী দলের উপর হামলা করতো, আর এখন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে অন্য দলে ঢুকতে চাচ্ছে। এরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী হলেও জেনে শুনে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি আর দর্বৃত্তয়ায়নের জন্য রাজনৈতিক নেতারা এদের দলে যুক্ত করে সব সময় ব্যবহার করে আসছে।