বাগআঁচড়া সংবাদদাতা
শার্শার বাগআঁচড়ায় নাভারণ-বেনাপোল সড়ক পরিবহন মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে সুধী সমাবেশ ও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
আয়োজিত এক সুধী সমাবেশ ৩১ জন মৃত পরিবহন শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মরহুমদের স্মরণে আয়োজিত এ ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে প্রতিটি পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা করে মরণোত্তর ভাতা প্রদান করা হয়।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এই সুধী সমাবেশ ও মরণোত্তর ভাতা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী রুহুল আমিন টুটুল এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টার ডিস্ট্রিক বাস সিন্ডিকেট যশোর অঞ্চলের সহসভাপতি এবিএম শামসুল আলম কাজল।
তিনি বলেন, মালিক শ্রমিকদের সাথেই আমাদের কাজ। দীর্ঘদিন যাবত বাগআঁচড়া নাভারন ও বেনাপোল শ্রমিক ইউনিয়নের নিহত শ্রমিকরা মরণোত্তর ভাতা পাননা এটা গত কয়েকদিন আগে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ও যুবদল নেতা কবির হোসেনের মাধ্যমে জানতে পারি। আর এজন্য তাদের কথা চিন্তা করে এ মরণোত্তর ভাতা।
তিনি আরো বলেন, আগামী ১৮ জুলাই বাগআঁচড়া-নাভারন বেনাপোল শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটে যদি টুটুল-সহিদুল পরিষদ জয়ী হয় তাহলে পরিবর্তিতে কোন শ্রমিক মারা গেলে জানাজার আগে তাদের ভাতা পরিষদ করা হবে বলে তিনি জানান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আজকের এই আয়োজন আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রমিক ভাইদের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের প্রতীক। একজন শ্রমিক মৃত্যুর পর যেন শুধু শোকই না রেখে যায়, তার পরিবারও যাতে কিছুটা ভরসা পায়-সেই লক্ষ্যেই এই মরণোত্তর ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি জামাল উদ্দীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাবু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোনায়েম হোসেন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মিকাইল হোসেন মনা, কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক ওলিয়ার রহমান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন, ছাত্রদলের সদস্য সচিব সবুজ হোসেন খানসহ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে মরহুম শ্রমিকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের পরিবারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নগদ ভাতা তুলে দেয়া হয়।
স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দও এই উদ্যোগকে শ্রমিকদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও মানবিকতার অনন্য উদাহরণ বলে অভিহিত করেন। তারা জানান, ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।