গোপাল ঘোষ
শীতের বিভিন্ন রকম সবজিতে ছেয়ে গেছে বাজার। বিক্রি হচ্ছে দেদার। অবরোধ-হরতালের তেমন কোনও প্রভাব না থাকায় শুক্রবার ছুটির দিন বাজারের সবজির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মত।
গতকাল যশোরের নিউ মার্কেট বাবলাতলা বাজার, বেজপাড়া তালতলা মোড় বাজার, রেলস্টেশন বাজার ও চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে সারা বছরই বিভিন্ন রকম শাকসবজি পাওয়া যায়। তারপরও শীতের সবজির স্বাদই আলাদা। তাই ক্রেতারা অপেক্ষায় থাকেন কখন বাজারে তাদের পছন্দের সব সবজি পাওয়া যাবে। নতুন টমেটো, গাজর, পেঁয়াজ কলি, ফুলকপি, বাধাকপি, মটরশুঁটি, শীম, লাউ, নতুন আলু এগুলোর চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি ক্রেতাদের আগ্রহ ক্যাপসিকাম বা ব্রোকোলির মতো বিদেশি সবজিতেও।
বাবলাতলা বাজারের বসির আহমেদ জানান, কোন সবজি নেই বাজারে? সবই পাওয়া যাচ্ছে সাধ্যের মধ্যে। মাঝখানে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও সেটা এখন কমে এসেছে। পুরনো পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় ও নতুন পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডাটাসহ পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা। পেঁয়াজের কলির দাম কেজি হিসেবে ৬০ টাকা ও আঁটি হিসাবে ২০ টাকা।
বাজারে বেগুন ৮০, ব্রোকলি ১০০, ফুলকপি ৭০, বাঁধাকপি ৩০, টমেটো ৮০, চিনা কচু (মেটে কচু) ১২০, মেটে আলু ১০০, পেঁয়াজের কলি ৬০, শিম ৭০, মানকচু ৬০, নতুন আলু ৭০, পুরোনো আলু ৬০, কাঁচা মরিচ ৮০, শসা ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, গাজর ৮০, নতুন পেঁয়াজ ১১০, পুরোনো পেঁয়াজ ১২০, রসুন বিক্রি হচ্ছে আড়াই শ থেকে ২৮০ টাকা কেজি। লাল-সবুজসহ সব ধরনের শাকের আঁটির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।
চার দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা বেশি দামে। দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। অথচ চার দিন আগেও দাম ছিল ৯০ টাকা। ১০০ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
বাজারে কথা হয় সিরাজুল ইসলাম নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। চার দিন আগে যে বেগুন ৪০ টাকায় কিনেছি, তা আজ ৮০ টাকায় কিনলাম।’
বাজারের কাপুড়িয়া পট্টির মুখের সবজি বিক্রেতা রবিউল বলেন, ‘আমরা যেমন কিনি, তেমন বিক্রি করি। বেগুন বিক্রি করছি ৮০ টাকা করে। চিনা কচু (মেটে কচু) ১২০ টাকা কেজি। আড়ত থেকে কিনে জায়গা ভাড়াসহ নানা খরচ রয়েছে। ফলে এমন বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মাছ বাজারে মাছের দাম স্থিতিশীল দেখা গেছে। ইলিশ এক কেজি সাইজের ওপরে কেজি ২০০০ টাকা এবং ছোট সাইজেরগুলো ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। রুই ও কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০, চিংড়ি মাছ আকার ভেদে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা, এবং রুপচাঁদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। এছাড়া তেলাপিয়া ও চাষের কই ২২০ থেকে ২৫০ এবং পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
মাংসের দোকানে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কক মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬২০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিরোনাম:
- আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কম্বল বিতরণ
- দেয়াড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের কম্বল বিতরণ
- জমকালো ও ব্যতিক্রমী আয়োজনে সম্পন্ন হলো নান্দিকের ‘চারুসঙ্গ ২৪
- যশোরের মুখ উজ্জ্বল করা তামিমের হাত ধরেই আসবে বিশ্বকাপ : জেলা প্রশাসক
- যশোরে কর্মী সম্মেলন সফল করতে জামায়াতের মিছিল ও লিফলেট বিতরণ
- ঝিকরগাছা অবহতিকরণ সভা অনুষ্ঠিত
- কালীগঞ্জে আন্তঃইউনিয়ন ভলিবলে জামাল ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন
- খুলনায় সাউণ্ড লাইট ব্যবসায়ীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন