কালীগঞ্জ সংবাদদাতা
শেখ হাসিনা নাকি তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে। তাহাজ্জুত নামাজ একটি গোপন নামাজ। এটা গল্প করে বেড়ানোর মতো কোন বিষয় না। যেদিন তিনি টেলিভিশনে গল্প করে বলতেন তাহাজ্জুত নামাজ না পড়ে ঘুমান না। সেই দিনই বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে শেখ হাসিনা একটা ভণ্ড মহিলা। যে নামাজ-রোযাকে ব্যবহার করে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।
বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল বাজারে ৪নং নিয়ামতপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী পতিত স্বৈরাচার হাসিনার অব্যাহত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় রাখাসহ দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এক সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সাইফুল ইসলাম ফিরোজ আরো বলেন, সকাল বেলা মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবে সেই ভোটে তিনি জিততে পারবে। সেই সৎসাহস তার ছিল না। তাই সে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে পুলিশ, র্যাব দিয়ে ভোট কাটতে যেতেন। ৫ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আপনারা দেখেছেন। এক শাড়িতে এমনকি সেন্ডেলও পরতে পারেন নাই। বাপ-দাদার বাড়ি ভারতে পালিয়ে গেছে। আর ১০ মিনিট দেরি হলে যেভাবে আপনি বিএনপির নেতাকর্মীদের খুন, গুম করেছেন ঠিক সেভাবে বাংলার মানুষেরা আপনার একই অবস্থা করতো। আপনি তো নৌকায় উঠে বৈঠা খুঁজে পান না। আবার ভারতে বসে হুঙ্কার দেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। দ্রুত মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ দেন। আপনারাও বিনা ভোটে সরকারে বসে আছেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
নিয়ামতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক মাস্টারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ডা. নুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম সাইদুল, ইলিয়াস রহমান মিঠু, উপজেলা বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান লেন্টু, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, জবেদ আলীসহ অন্যান্যরা।