শ্যামনগর সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ‘সিটি সুপার সপ’ নামীয় প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা খেজুরের মধ্যে পোকার সন্ধান মিলেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলা সদরের অতি পরিচিত ওই সুপার সপ থেকে কেনা খেজুরের প্যাকেটে পোকার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
রাতে বাড়িতে ফিরে বিষয়টি নজরে আসে ক্রেতা আব্দুর রশিদের। ঘটনাটি মঙ্গলবার সকালে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিককে জানানোর পর টাকা ফেরত না দিয়ে পরিবর্তে সমপরিমান অর্থের অন্যান্য মালামাল নিতে অনুরোধ করা হয় তাকে।
ভুক্তোভোগী আব্দুর রশিদ উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের দরগাহপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে।
জানা গেছে আব্দুর রশিদ গত সোমবার পরিবারের জন্য খেজুর কিনতে যায় শ্যামনগরের সিটি সুপার সপে’। এসময় আটশ ৫০ টাকা দিয়ে তিনি এক কেজি খেজুর নিয়ে বাড়িতে যান।
পরবর্তীতে রাতে একমাত্র সন্তান নাবিল ইসলামকে পরিবেশন করতে যেয়ে খেজুরের মধ্যে পোকার উপস্থিতি দেখতে পান তিনি।
এসময় তার স্ত্রী ও সন্তানরা উক্ত খেজুরের প্যাকেট খুলে কালো রংয়ের আরও অসংখ্য পোকার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে পুনরায় তা প্যাকেটজাত করে রাখেন। একপর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে পোকা ভরা খেজুরের উক্ত প্যাকেট তিনি ‘সিটি সুপার সপ’ এর কর্ণধার রোকনুজ্জামান বাবুর কাছে জমা দেন। এসময় খেজুরের মধ্যে পোকার উপস্থিতি প্রত্যক্ষ করে তিনি খেজুরগুলো সরিয়ে ফেলেন।
আব্দুর রশিদ অভিযোগ করেন শুরুতে রোকনুজ্জামান তাকে খেজুরের টাকা ফেরত দিতে সম্মত হন। পরবর্তীতে অন্য কোন মালামাল নিতে টাকা শোধ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তার প্রতিষ্ঠানের অপরাপর মালামালে একই ধরনের ভেজাল থাকার শংকায় তিনি আর কোন পণ্য নিতে অস্বীকৃতি জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ‘সিটি সুপার সপে’র কর্ণধার রোকনুজ্জামান বলেন একটা খেজুরের প্যাকেটে কিছু পোকা পাওয়া যাওয়ায় তার মুল্য ফেরত দেয়া হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সুত্রসহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মচারী জানান খেজুরের মধ্যে পোকার অস্তিত্ত পাওয়ায় রাত সাড়ে আটটার দিকে মালিকের নির্দেশে তারা যাবতীয় খেজুর সরিয়ে ফেলেছেন। প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে খেজুরের প্যাকেটগুলো বস্তায় ভরে ভ্যানযোগে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে ফেলা হয় বলেও তারা নিশ্চিত করেন।
এসময় খেজুর সরানোর সাথে জড়িতদের বহনকারী ভ্যানের পিছু নেয়া সাংবাদিকদের তারা জানান পোকা থাকায় খেজুরগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন। মালিকের নির্দেশে তারা এসব খেজুর সরিয়ে নেয়ার কথা জানান।