বাংলার ভোর প্রতিবেদক:
“ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার” এই স্লোগানকে সামনে রেখে যশোরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের লালদিঘীর পাড়ে হরিসভা মন্দির প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ যশোর জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে ময়মনসিংহের ভালুকায় কথিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাসকে নৃশংসভাবে হত্যা, তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ রায় ও তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়, সালফায় উৎপল সরকার এবং রায়পুরায় প্রাণতোষ কর্মকারকে হত্যার প্রতিবাদ করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন, সহ-সভাপতি দুলাল সমাদ্দার, প্রশান্ত দেবনাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রতন আচার্য, সাংগঠনিক সম্পাদক উৎপল ঘোষ, সদর উপজেলা সভাপতি রবিন কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোরের সভাপতি রবিন্দ্রনাথ আচার্য, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি সন্তোষ বিশ্বাস, সম্পাদক শান্তি পদ বিশ্বাস, নীলগঞ্জ মহাশ্মশানের সভাপতি আলোক ঘোষ, কাশিমপুর ইউনিয়নের সভাপতি কার্তিক পোদ্দার, বাঘারপাড়া পূজা পরিষদের সদস্য সচিব প্রণয় সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এত হিন্দু নির্যাতন কোনো সরকারের আমলে হয়নি। তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ২৪ সালের বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সবাই আশা করেছিলো সুখে, শান্তিতে নিরাপদে হিন্দু মুসলমান মিলেমিশে বসবাস করতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে একের পর এক সংখ্যালঘু নির্যাতন করা হচ্ছে। এসব নির্যাতন আর মেনে নেয়া হবে না।
সরকারকে অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিহত ভাইদের হত্যার দ্রুত বিচার করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বিপুল দাসের হত্যার ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ কোটি টাকা প্রদানের যে রিট করা হয়েছে, তা অবশ্যই দিতে হবে।
এ সময় বক্তারা দেশে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশা প্রকাশ করেন।
শেষে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় গণপ্রার্থনা করা হয়। পরে লালদীঘির পাড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে যশোর হরিসভা মন্দিরের সামনে এসে শেষ হয়।
