স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর সারাদেশের মত ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে যশোরের পরিবেশ। দুই, পাঁচ, আট ঘন্টা করে শিথিল রাখা হচ্ছে কারফিউ। সাধারণ মানুষের মধ্যকার উৎকন্ঠা কমতে শুরু করেছে। ইন্টারনেট নির্ভর বিনোদন মাধ্যম সীমিত হওয়ায় খেলার মাঠে দেখা গেছে কিশোরদের। এর মধ্যে সাত দিন পর খুলতে শুরু করেছে বিনোদন স্পটগুলো। তাই গেল এক সপ্তাহ ঘর বন্দি থাকা শিশু কিশোরদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে যশোর পৌর পার্কে।
শুক্রবার বিকেলে যশোর পৌর পার্কে গিয়ে দেখা গেছে পার্কের অধিকাংশ বেঞ্চ জুড়ে বসে আছেন বিনোদনপ্রেমি মানুষেরা। কেউ এসেছেন স্বপরিবারে, কেউ এসেছেন প্রিয় বাচ্চাকে নিয়ে, কেউ এসেছেন প্রিয় বন্ধুদের সাথে। আবার কেউ বা এসেছেন প্রিয়তম কিংবা প্রিয়তমাকে সাথে নিয়ে কিছুটা সময় মনের কথা বলতে।
পৌর পার্কের গেটে কথা হয় চাকরিজীবী শফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন বাচ্চাদের নিয়ে বের হতে পারিনি। শহরে আউটডোরে বাচ্চাদের বিনোদনের সুযোগ কম। তারপর বিনোদন স্পটগুলো বন্ধ ছিলো। আজ ঘর থেকে বাচ্চাটাকে বের করে পৌর পার্কে এনেছি। অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলা করল। বাচ্চাটাকে হাসি খুশি দেখে নিজের মনটা ভালো লাগছে।
আশিকুর রহমান নামে কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, বেশ কয়েকদিন কলেজ বন্ধ। ইন্টারনেটও পাচ্ছি না। বন্ধুদের সাথে মন খুলে আড্ডা দিতে পারছি না। মোবাইলে কথা বলে সুবিধা করার মত নেয়। আজ হুট করে শুনলাম পার্ক খোলা। বন্ধুদের সাথে নিয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছি।
পৌর পার্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আব্দুল মজিদ বলেন, এক সপ্তাহ পর শুক্রবার বিকেল ৩ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত পার্ক খুলেছি। অনেক লোক আসা যাওয়া করছে। স্বাভাবিক অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি ভিড়।
এদিকে, দড়াটানার ভৈরব নদের পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন পার্ক এখনও বন্ধ রয়েছে। কালেক্টরেট পার্কে তালা ঝুলছে। এখনও খুলে দেওয়া হয়নি এই সব বিনোদন স্পটগুলো। এদিন বিকেল বেলা অনেকেই এসে পার্ক বন্ধ দেখে ফিরে গেছেন।
স্বপরিবারে কালেক্টরেট পার্কে প্রবেশের গেটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী এনায়েত হোসেন বলেন, শুক্রবার কাজ বন্ধ। পরিবার নিয়ে বের হয়েছি। বাচ্চা দুটো ঘরে থাকতে চাচ্ছে না। এসে দেখি ডিসি আফিস পার্ক, ভৈরব নদের পার্ক বন্ধ। বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে সীমিত পরিসরে হলেও বিনোদন স্পটগুলো খুলে দিলে ভালো হয়।