- তালিকায় বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীর নাম নেই
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের চৌগাছা উপজেলার মাড়ুয়া ইউছুফ খান স্কুল এণ্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এডহক কমিটি গঠনে আওয়ামী লীগ নেতাকে পুনর্বাসন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকবাসী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মাড়ুয়া ইউছুফ খান স্কুল এণ্ড কলেজের সভাপতি হওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট ইচ্ছা পোষণ করেন জামায়াত নেতা ইউসুফ আলী। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তাকে জামায়াতে ইসলামী থেকে সুপারিশ নিয়ে আসতে বলেন। জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্যাডে সুপারিশপত্র নিয়ে আসলেও সভাপতি প্রার্থী হিসেবে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো তালিকায় তার নাম দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করছেন প্রধান শিক্ষক। জেলা প্রশাসকের প্রার্থীদের নামের তালিকার তিনজন আওয়ামী লীগ অনুসারী। প্রার্থীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান খানের ভাতিজি। তবিবর এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে প্রধান শিক্ষককে দিয়ে এসব করছেন। বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থিত প্রার্থীদের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য তারা এক সাথে কাজ করছেন।
সভাপতি প্রার্থী আমির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগপন্থি। আমি সভাপতি প্রার্থী হিসেবে তার কাছে গিয়েছিলাম। আমাকে সুপারিশপত্র নিয়ে আসতে বলেন। আমি উপজেলা বিএনপির প্যাডে সভাপতি হওয়ার জন্য সুপারিশপত্র ও মাস্টার্সের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছি। কিন্তু আমার নাম তালিকাতেই দেয়া হয়নি। কেন দেয়া হয়নি সেটাও বলছেন না তিনি। গোপনে প্রধান শিক্ষক আপন তিন ভাই ও আওয়ামীপন্থির নাম পাঠিয়েছেন। তিনি কেন নাম পাঠালো না, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মাড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, আমি বিএনপির সমর্থক। সভাপতি প্রার্থী হিসেবে প্রধান শিক্ষককে বলি। বিএনপি ও জামায়াতের তিন জনের নাম দেয়া হয়েছে বলে জানান। তাই আমার অবস্থান থেকে সরে আসি আমি। এখন জানতে পারছি তিনজনই আওয়ামীপন্থির নাম পাঠিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মাড়ুয়া ইউছুফ খান স্কুল এণ্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, এরা তো আমার ছাত্র, এখনো ছোট। আমি কোনো দল দেখে তালিকা জমা দেয়নি। যাদের নামের তালিকা দেয়া তারা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে মাঝে মাঝে সহযোগিতা করেন। আমি প্রতিষ্ঠানের ভালো চেয়ে কাজটা করেছি।
বিষয়টি নিয়ে চৌগাছা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে এলাকাবাসী। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।