বিবি প্রতিবেদক
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রচারণায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মাইক। এজন্য বেড়েছে মাইকের চাহিদা। বিষয়টি মাথায় রেখে পুরাতন মাইক রং চং ও মেরামতও করেছেন যশোরের মাইকপট্টির মাইক ব্যবসায়ীরা। আর এতে করে মাইক ব্যবসায়ীরা ভুগছেন এখন সময় সংকটে।
প্রচারের জন্য পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনের পাশাপাশি মিছিল ও সভা-সমাবেশের জন্য অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে মাইক। এজন্য নির্বাচনকে সামনে রেখে মাইকপট্টির লোকজন আগাম প্রস্তুতিও নেন। একাধিক মাইক সার্ভিস ব্যবসায়ীদের দোকানে এমন দৃশ্য দেখা যায়। পুরোনো মাইক সার্ভিসিং করে করা হয় সচল। ঘষাঁমাজা করে রঙ চড়িয়ে দেয়া হয় নতুন রূপ।
ফাল্গুনী সাউন্ড সার্ভিসের সিরাজুল ইসলাম জানান, নির্বাচন উপলক্ষে বেশ প্রস্তুতি নেয়া হয়। আমাদের এখানে প্রচার-প্রচারণায় স্ব স্ব প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় স্লোগান রেকর্ড করা হয়। গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেকে স্লোগান রেকর্ড করেন। ছেলে—মেয়েদের মিষ্টি কণ্ঠে মিলিয়ে রেকর্ড করা হয়। আর এ রেকর্ড করার জন্য আমরা সাধারণত ৭’শ থেকে ১ হাজার পর্যন্ত নিয়ে থাকি।
সভা-সমাবেশে প্রত্যেক প্রার্থীকেই মাইক ব্যবহার করতে হয়। তাই কয়েক বছরের লোকসান কিছুটা হলেও উঠানো সম্ভব হবে। অন্য মাসের তুলনায় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার কয়েকদিন আমাদের মাইক সার্ভিসে ভালো ভিড় থাকে। তবে নির্বাচন আর বছরের শেষে এবং শুরুতে ভর্তির প্রচারণা ছাড়া আমাদের তেমন আয় হয় না।
তরঙ্গ মাইক সার্ভিসের মালিক ইমান আলী জানান, আমরা ১৮ তারিখের অপেক্ষায় ছিলাম। নির্বাচনের প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মাইক। ১৫ ডিসেম্বর থেকেই আমাদের নিকট লোক জনের ভিড় শুরু হযে যায়। তবে বছরের ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ সúÍাহ পর্যন্ত আমাদের মাইক সার্ভিসের ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়। কারণ এ সময় স্কুল-কলেজে ভর্তি শুরু হয়। এবার নির্বাচন হওয়ায় আশা করছি ভাল ব্যবসা হবে। প্রতিদিন মাইক প্রতি দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। আর ইজিবাইক সাধারণত ভাড়া হয় ৮’শ থেকে ১২’শ টাকা পর্যন্ত।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version