কেশবপুর সংবাদদাতা:
যশোরের কেশবপুর সাগরদাঁড়ি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়িকে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র করতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাগরদাঁড়ি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত স্থান ও স্থাপনা সমূহ সংরক্ষণ সম্ভাবনা বিষয়ক সেমিনারটির প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সাগরদাঁড়ি মিউজিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বরিশালের সহকারী কাস্টোডিয়ান আরিফুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মিউজিয়ামের কাস্টোডিয়ান পরিচালক হাসানুজ্জামান হাসান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা মহা কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি চারণ করতে যেয়ে বলেন মহা কবি মাইকেল কেশবপুরের কপোতাক্ষ নদপারের সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি রাজনারায়ণ দত্ত ও জাহ্নবী দেবীর ঘরে জন্ম নেন।
১৮৫৩ সালে মধুসূদন দত্ত খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করলে তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়। তিনি ‘পদ্মাবতী’ নাটক, ‘একেই বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামের দুটি প্রহসন, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’, ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’, ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ও ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যে গাম্ভীর্যপূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক তিনি। বক্তারা আরও বলেন মহাকবির এই জন্ম স্থান আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, থাকার ব্যবস্থা করাসহ কবির জন্মস্থানকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সংস্কার করার সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার দাবি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলি ইয়াসমিন, প্রধান আলোচক কবি খন্দকার খসরু পারভেজ, বিশেষ অতিথি ছিলেন গোলাম ফেরদৌস, আরও উপস্থিত ছিলেন কাস্টোডিয়ান বাগেরহাট জাদুঘর মো. যায়েদ, কাস্টোডিয়ান রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি শিলাইদহ কুষ্টিয়া, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আইরিন পারভীন, কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশীদ বুলবুল, সাংবাদিক আব্দুল মোমিন, এনামুল হাসানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Share.
Exit mobile version