বাংলার ভোর প্রতিবেদক
আলোচিত ও সমালোচিত যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়ের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিার ‘রণজিতের এমপি পদ ছিলো আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার ভোর পত্রিকা। সংবাদে টিনের বাড়ি থেকে সম্পদের পাহাড় হওয়ার নানা তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়।
দুদকের অভিযোগে রণজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ নামে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ছিল ৭০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ৫ তোলা সোনা। পরে ২০২৩ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে, তার ছেলে রাজিব কুমার রায় প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি কাজের জন্য ৫ শতাংশ হারে কমিশন গ্রহণ করতেন। তার নিজ ও ছেলের নামে ভারতের সল্টলেক এলাকায় বাড়িও রয়েছে। এই এমপির পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জমি দখল, মানিলন্ডারিং, নিয়োগ বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে তারা দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।
এই বিষয়ে যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপ-পরিচালক আল আমিন বলেন, ‘আমরা শুনেছি সাবেক এমপি রনজিত বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এখনো চিঠি পায়নি। তার বিরুদ্ধে প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে পারে।’