বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে সমন্বয়ক পদ ছাড়লেন যশোরের দুই শিক্ষার্থী। সোমবার মাসুম বিল্লাহ ও জেসিনা মুর্শীদ নামে দুই শিক্ষার্থী তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে সমন্বয়ক পদ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। নিজেদেরকে সমন্বয়ক পদ থেকে সরিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা ও সমন্বয়ক পদ ব্যবহার করে কেউ কুকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে থাকার ঘোষণা দেন।
এর আগে গেল বৃহস্পতিবার তারা প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে অন্য এক সমন্বয়ক রাশেদ খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। এ বিষয়ে পরের দিনই রাশেদ খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে একটি ছবির মাধ্যমে নিরব প্রতিবাদ করেন। সেই ছবির ব্যানারে তিনি লিখেছিলেন ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যশোর জেলা (উচ্চ মার্গীয় সমন্বয়কবৃন্দ)’। ছবিতে দেখা গেছে তিন জন গাঁধা সদৃশ্য কিছু সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন। ছবির নিচে ক্যাপশন দিয়েছেন ‘একটি উচ্চমার্গীয় সংবাদ সম্মেলন’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ছবিতে নেটিজেনদের বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা মূলক বক্তব্য করতে দেখা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যশোরের অন্যতম দুই সমন্বয়ক সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মাসুম বিল্লাহ তার ব্যবহৃত ফেসবুক একাউন্ট ‘এমএমবি মাসুম বিল্লাহ’ পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি মাসুম বিল্লাহ সাধারণ ছাত্র হিসেবে সবসময় ছাত্রদের পক্ষে। সমন্বয়ক খেলা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আমি সাধারণ ছাত্র হিসেবে সবসময় ছাত্রদের পাশে ছিলাম, আছি ও থাকব। দেশ সংস্কারে বা সমাজের দুর্নীতি মুক্ত করতে সাধারণ ছাত্র হয়েই পাশে দাড়াবো ইনশাআল্লাহ। সমন্বয়ক নাম ব্যবহার করে কেউ অন্যায় সুবিধা বা কুকর্ম করলে তারও বিরুদ্ধে আমি। সবাইকে ধন্যবাদ।’
অন্য এক সমন্বয়ক যশোর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জেসিনা মুর্শীদ তার ব্যবহৃত ফেসবুক একাউন্টে লিখেছেন,‘ আমি জেসিনা মুর্শীদ সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে সবসময় ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম। সমন্বয়ক খেলা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আমি সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে সবসময় ছাত্রদের পাশে ছিলাম, আছি ও থাকব। দেশ সংস্কারে বা সমাজের দুর্নীতি মুক্ত করতে সাধারণ ছাত্র হয়েই অন্য ছাত্রদের পাশে দাঁড়াবো ইনশাআল্লাহ। সমন্বয়ক নাম ব্যবহার করে কেউ অন্যায় সুবিধা বা কুকর্মে লিপ্ত হলে তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার থাকবো। সবাইকে ধন্যবাদ।’