বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ভুয়া চিকিৎসক সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুর রহিম রাকিবকে আটক করায় চিকিৎসক, সেবাপ্রার্থীসহ যশোরের সাধারণ মানুষের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছিলেন পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) সোহেল রানা। এরই মধ্যে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সোহেল রানাকে পুরস্কৃত করলো যশোর জেলা পুলিশ। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় যশোর পুলিশ লাইন্সের ডিলশেডে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যান সভায় পুলিশ সদস্য সোহেল রানার হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর -ই- আলম সিদ্দিকী (প্রশাসন ও অর্থ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার (ক্রাইম এন্ড অপস), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মোঃ আহসান হাবীব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) মোঃ রাজিবুল ইসলাম সহ জেলা পুলিশের সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
জানতে চাইলে কনস্টেবল সোহেল রানা ‘বাংলার ভোর’কে বলেন, সঙ্ঘবদ্ধ একটি চক্র মেডিকেল এ্যাপ্রোন পরিধান করে চিকিৎসক সেজে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের সাথে প্রতারনা করে আসছে এমন একাধিক অভিযোগ আমার কাছে আসতে থাকে। কয়েক মাস চেষ্টার ফলে এ সিন্ডিকেটের একজন সদস্যকে হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হই।
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। তবে এ স্বীকৃতি আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, সোহেল রানার এই তৎপরতা পুলিশের পেশাদারিত্বের অনন্য উদাহরণ। এমন সাহসিকতা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৭ জুলাই) যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক সিন্ডিকেটের সদস্য পটুয়াখালীর বাউফলের বাসিন্দা বর্তমানে যশোর শংকরপুর ইসাহক সড়কের ভাড়াটিয়া মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুর রহিম রাকিবকে হাতেনাতে আটক করেন পুলিশ সদস্য সোহেল রানা।