রাজগঞ্জ প্রতিনিধি

মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট অঞ্চলের ফসলের মাঠে সোনালি ধানের সমারোহ। রোদ আর উড়ো বাতাসে সোনারঙা ফসলের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে চারিদিকে কৃষকের ধানকাটা। দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ সবুজ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণের অপেক্ষায়। আর মাত্র কদিনের অপেক্ষা।

কৃষক আবু সাঈদ, আবু দাউদ মোড়ল বলেন, পাকা ধান ঘরে উঠবে আর কয়েক দিনের মধ্যে, শুরু হবে চারিদিকে নবান্নের উৎসব। তবে আবহাওয়া অনুকূলে ভালো থাকলে কৃষকেরা কাক্সিক্ষত ফলন পাবেন ভালো। মণিরামপুর উপজেলার নেংগুড়াহাট অঞ্চলে বিভিন্ন মাঠে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। গ্রীস্মের ঝাঁঝালো রোদের মাঝে মাঠে মাঠে সোনালী ধানের হাসি কৃষকদের মনে আনন্দ বয়ে আনছে। এ অঞ্চলের চারটি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে মৃদু মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে কাঁচা পাকা ধানের শীষ। চালুয়াহাটি ইউনিয়নের কৃষি উপসহকার মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে এ চার ইউনিয়নে ৭ হাজার ৮০০শত ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।

এর মধ্যে চালুয়াহাটি ইউনিয়নের বোরো ধানের চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮শত ১৫ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৮শ ২৪ হেক্টর। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদেরকে বিনামূল্যে উন্নতমানের বীজ ও সার, কীটনাশক সহায়তা এবং কৃষি অফিসার নিজে মাঠকর্মীদের সাথে মাঠে গিয়ে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের। লক্ষণপুর গ্রামের কৃষক শামসুর রহমান বলেন, আমাদের মাঠে কিছু জমির ধান কাটার মতন হয়ে গেছে। সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে, আবার কিছু জমির ধান কাটা শুরুও হয়েছে। তবে আর মাত্র কদিন পরেই মাঠের অধিকাংশ ধান পাকতে শুরু করবে। কৃষক মতিয়ার বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে।

সরেজমিনে মাঠ ঘুরে দেখা যায়, নেংগুড়াহাট অঞ্চলের মাঠ গুলোতে কৃষকরা বোরো ধানের শীষ পরিচর্জায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পোকা-মাকড় থেকে ধানকে রক্ষা তাদের মূল লক্ষ্য। আর কয়েকদিন পরেই কৃষক ধান কাটবে। চালুয়াহাটি কৃষি উপসহকারী ফারহানা ফেরদৌস বলেন, এখনো পর্যন্ত কৃষকদের ধান ভালো পর্যায়ে আছে। আবহাওয়া অনুকূলে ভালো থাকলে কৃষকেরা কাক্সিক্ষত ফলন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Share.
Exit mobile version