বাংলার খেলা ডেস্ক
পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট ম্যাচ খেলতে থাকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর আদাবর থানায় করা হত্যা মামলাটির ২৮ নম্বর আসামি তিনি।
এই মামলার পর এখন জনমনে কৌতূহল-হত্যা মামলা আসামি হওয়ার পরও কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারবেন সাকিব? নাম প্রকাশ না করে বিসিবির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত এক ম্যাচ রেফারি জানান, সাকিবের খেলতে না পারার কোনো কারণ তিনি দেখেন না। সাকিবের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করলেই তিনি ক্রিকেট খেলতে পারবেন না- এমন কোনো আইন নেই বলেও জানান তিনি। ক্রিকেটে স্পিরিট অব দ্য রুলসে আছে, ক্রিকেটকে নৈতিকভাবে শৃঙ্খল থাকতে হবে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এখনো প্রমাণিত হয়নি। তাই তার দেশে ও দেশের বাইরে ক্রিকেট খেলতে বাধা নেই।
যদি তিনি মামলার তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হন, তখন যদি সংশ্লিষ্ট বোর্ড কিংবা দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তখন তিনি ম্যাচ খেলার সুযোগ না-ও পেতে পারেন। আপাতদৃষ্টে এই মামলাকে কেন্দ্র করে সাকিবের ম্যাচ খেলায় কোনো বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ নেই।
এ নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব বলেন, ‘সাকিবের এই মামলার বিষয়টি আমি ফেসবুকে দেখেছি। সাকিবের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করেছে। তবে তিনি এখনো আসামি নন। অভিযোগ প্রমাণের আগে কাউকে আসামি বলা যাবে না। যদি তার বিরুদ্ধে আনীত হত্যা মামলার অভিযোগটি প্রমাণিত হয়, সে ক্ষেত্রে তিনি আসামি হবেন। তবে তিনি ক্রিকেট খেলতে পারবেন কি পারবেন না, এটি নির্ধারণ করবে ক্রিকেট বোর্ড বা ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তা ছাড়া এই মামলার সময়কাল দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক মামলা।’
সাকিবের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দ্রুতই তারা আইনজীবী নিয়োগ করে এই মামলায় সাকিবের জন্য আগাম জামিন চাইবে। আইনজীবী নিয়োগ করে এই মামলা থেকে সাকিবের নাম প্রত্যাহার চেয়ে বিচারিক আদালত বরাবর আবেদন করারও চিন্তাভাবনা রয়েছে তাদের। এদিকে বিসিবির নিজস্ব কোনো আইনজীবী না থাকায় সাকিবের মামলা ইস্যুতে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।