বাংলার ভোর প্রতিবেদক
কুরবানি উপলক্ষে যশোরে ১৮টি পশুহাটে ১৯টি মেডিকেল টিম কাজ করবে। এছাড়া পশুর শরীরে হরমন প্রয়োগ বন্ধ, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি উপজেলায় দুইদিন মাইকিং করবে প্রাণি সম্পদ বিভাগ। পশুর হাটে খাজনার নামে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কুরবানি, চামড়া সংরক্ষণ ও কুরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ক প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলম, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যপক গোলাম রসুল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, এ বছর ঈদে যশোরে কুরবানির পশুর কোনো সংকট নেই। জেলার ১৮টি পশুর হাটে ১৯টি মেডিকেল টিম কাজ করবে। পশুর শরীরে হরমন প্রয়োগ বন্ধ, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রাণি সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুই দিন করে মাইকিং করা হবে। চামড়া সংরক্ষণে লবণের মূল্য বৃদ্ধি, খুচরা ব্যবসায়ীদের চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, পশুর হাট এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করবে। বাস টার্মিনাল ও রাস্তাঘাটে পথচারী ও পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। পশুর হাটে খাজনার নামে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। ঈদের সময় ছিনতাই ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে প্রশাসনের একাধিক টিম কাজ করবে এবং এ বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি। নগদ টাকা বহন না করে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন ও যাচাই না করে কোনো প্রকার ফোন কল রিসিভ না করার পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে তিনটি প্রধান বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়। এগুলো হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, হাট পরিচালনা ও চামড়ার বাজার ব্যবস্থাপনা।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, পশুর হাটগুলোতে জাল টাকা শনাক্ত করার মেশিন, পর্যাপ্ত ঠান্ডা পানির সরবরাহ এবং মেডিকেল টিম অবশ্যই থাকতে হবে। হাটের ইজারাদারদের হাটে ছায়ামণ্ডপের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চামড়া বাইরে পাঠানো বন্ধ করে স্থানীয়ভাবে ১৫ দিন সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে চামড়ার ভালো দাম পাওয়া যায়। এছাড়া কুরবানির পর দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। যত্রতত্র পশু জবাই না করে নির্দিষ্ট স্থানে জবাই করতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জেলার মসজিদগুলোর ইমামদের সহযোগিতা চাইতে হবে।
শিরোনাম:
- যশোরে এনসিপির লিফলেট বিতরণ
- যশোরে দুদিনে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
- দেশ অনিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চলছে : নার্গিস বেগম
- কল্যাণকর রাষ্ট্র কায়েমে কাজ করুন : অধ্যাপক গোলাম রসুল
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মশক নিধন অভিযান
- চিত্রা মডেল কলেজে রোস্তম আলী মোল্যার ৫ লাখ টাকা অনুদান
- যশোরে মাদককারবারি আটক
- যশোরে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুরু ১৯ জুলাই