নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিকরগাছা
যশোর জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য ফুলের চাষকে সম্প্রসারণ ও বিপণনের প্রত্যাশা ব্যক্তের মাধ্যমে ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী-পানিসারা-হাড়িয়া মোড়ে ফুল উৎসব সমাপ্ত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।
তিনি বলেন, ফুল হলো যশোর জেলার ব্র্যান্ডিং। ফুলচাষকে সম্প্রসারণ ও বিপণন বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে। তিনি প্রতিবছর ফুল উৎসব করার বিষয়ে প্রশাসনকে তাগিদ দেন।
আজ (শনিবার) ছিল চার দিনের ফুল উৎসবের শেষদিন। সমাপনী এদিনে কর্মসূচি অংশ হিসেবে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট কমলেশ মজুমদার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএম মামুনুর রশীদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদের সিএটু এমদাদুল হক এমদাদ।
সমাপনী দিনটিতেও মানুষের ঢল নামে ফুল উৎসব এলাকায়। বিশেষ করে গদখালী রেল স্টেশন এলাকা থেকে শুরু করে পানিসারায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণন কেন্দ্র পর্যন্ত তিলঠাঁই ছিলনা। এর আগে উৎসব উপলক্ষে ফুল ক্ষেতগুলোকে দৃষ্টিনন্দন ও পানিসারা-হাড়িয়া মোড়ে অবস্থিত রেস্টুরেন্টগুলোকেও ফুল ক্ষেতের আদলে রূপ দেয়া স্থানগুলোতেও দর্শনার্থীতে ঠাঁসা ছিল।
ফুলের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ফুল রাজ্যকে সবার সামনে তুলে ধরতে বুধবার এ ফুল উৎসব শুরু হয়েছিল। উৎসবে ফুল উৎপাদক, ফুল ব্যবসায়ী, ফুল সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো অংশ গ্রহণ করছে।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, সারাদেশ এবং বিশ্বের কাছে এই ফুল সেক্টরকে তুলে ধরতে এই ফুল উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ ফুল বিদেশে রপ্তানি করার উপরও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সারাবছরের মধ্যে এই শীতের মৌসুমকে ঘিরে ভড় ধরনের বাজার ধরার চেষ্টা করে কৃষকরা।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ফুল উৎসবকে কেন্দ্র করে দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে এবং ফুলচাষিদের বেচাকেনাও ভাল হয়। যশোরের ঐতিহ্য এবং এই ফুলের রাজধানীকে সবার সামনে তুলে ধরা আমাদের মূল লক্ষ্য।
গতকাল সন্ধ্যার পরে শিশুদের ফুল অংকন প্রতিযোগিতার ৬জন বিজয়ী ও স্টল মালিকদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। শিশুদের ফুল অংকন প্রতিযোগিতার ৬জন বিজয়ীরা হলো, ক বিভাগের (শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) ১ম স্থান কৃষ্ণনগর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিয়া তাজফিন, ২য় স্থান ও ৩য় স্থান যথাক্রমে পানিসারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুসকান খাতুন ও হুমায়রা খাতুন। খ বিভাগের (৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি) ১ম স্থান শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনিয়া জামান, ২য় স্থান কৃষ্ণনগর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিসা আজহার, ৩য় স্থান বারবাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাইশা ইসলাম।
শিরোনাম:
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস
- শীতে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রির ধুম
- একটা সংস্কার কমিটি দিয়ে সংবিধান সংস্কার সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
- নিখোঁজের ৩ দিন পর কপোতাক্ষ নদে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ
- কৃষ্ণনগরে আরাফাত কোকো স্মৃতি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন রতনপুর
- পাখির সাথে মানুষের ভালোবাসার গল্প !
- সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
- যশোর মটর পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে ২৭টি মনোনয়নপত্র ক্রয়