চুকনগর সংবাদদাতা
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যশোরের কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। এ নিয়ে অশান্তির আশংকা থেকে উপজেলার ভেরচী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক শামিম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে জবর দখলের চেষ্টাকারীরা স্থান ত্যাগ করেন।
উপজেলার ভেরচী গ্রামের এসএম হাবিবুর রহমান হাবিবের স্ত্রী শিরিনা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে সন্ন্যাসগাছা মৌজার আর এস ১৬৩৮ খতিয়ানের ২৩৮০, ২৩৭৯, ৪৩৭৮ দাগের ১ একর ৪৭ জমি কিনে চাষাবাদ করছেন। তিনি এই জমি সন্ন্যাসগাছা গ্রামের আব্দুল করিম ফকির, আব্দুল কাদের ফকির, আনছার আলী ফকির আব্দুর রহিম ফকির, মেয়ে মোমেনা খাতুনসহ তাদের ওয়ারিশগণ, রাজ্জাক ফকির, মোতালেব ফকির, মোর্তজা ফকির, জাহানারা বেগম, রুপনাহার বেগম, বিলকিচ বেগম, রহিমা বেগম, নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে ২০২২ সালে ২০ এপ্রিল জমি ক্রয় করেন যার দলিল নং ২১১৮।
জানা যায়, মৃত মোবারক ফকিরের শ্বশুর বাড়ি একই গ্রামে থাকায় তার শ্যালক এ জমি বর্গা হিসেবে চাষাবাদ করতেন। মোবারক ফকিরের অজান্তে তার শ্যালক মাঠ জরিপের সময় জমি দখল হিসেবে নিজের নামে রের্কড করে নেন। মোবারক ফকির বিষয়টি বুঝতে পেরে এলএসটিতে নামপত্তন করার জন্য মামলা করলে আদালত মৃত মোবারক ফকিরের পক্ষে দেন। রায় স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন মৃত মোহাতাপ সরদার গং। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৭ জুন উচ্চ আদালতের বিচারক জাফর আহমেদ এবং কাজী জিনাত হক সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায় স্থগিত না করে নিম্ন আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বর্তমানে দখলে যিনি আছেন তিনি থাকবেন বলে আদেশ দেন। সাবেক জমির মালিক আব্দুর রহিম ফকির বলেন, এই জমির তৎকালীন মূল মালিক ছিলেন সন্ন্যাসগাছা গ্রামের মৃত কাছেম শেখ। ১৯৫৭ সালে তার আর্থিক প্রয়োজনে ১ একর ৪৯ শতাংশ জমি একই গ্রামের মৃত ওজির ফকিরের ছেলে মৃত মোবারক ফকিরের কাছে বিক্রি করেন। এস এ রেকর্ডের সময় দলিল এবং দাখিলা মূলে নিজ নামে এস এ রেকর্ড করে। এরপর মৃত কাছেম শেখের ছেলে আব্দুল শেখ গ্রামের কিছু অসাধু লোকের কুপরামর্শে যশোর দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করেন। মৃত মোবারক ফকিরের পক্ষে তার শ্যালক মৃত মহাতাপ সরদার এই মামলা পরিচালনা করতেন, পরপর চারবার এই মামলার রায় মৃত মোবারক ফকিরের পক্ষে দেন আদালত।
এদিকে ১২ জানুয়ারি মৃত মোহাতাব গং আলমগীর হোসেন সরদার বাদী হয়ে বর্তমান ক্রয় সূত্রে জমি মালিক শিরিনা আক্তারের নামে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে কেশবপুর থানা বিষয়টি ভেরচী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর দায়িত্ব থাকা এসআই শামীম হোসেনের উপর দায়িত্ব দেন। শামীম হোসেন উভয় পক্ষকে ডেকে এলাকার আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলেন।
এ বিষয়ে এসআই শামীম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি উভয় পক্ষকে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এবং আদালতে প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলেছি। এ বিষয়ে ক্রয় সূত্রে জমির মালিক শিরিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী এসএম হাবিবুর রহমান গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের দুইবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমার স্বামীর সম্মান ক্ষুণ্নের জন্য তারা এসব করছে।
এদিকে অভিযুক্ত আবুল কালাম সরদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি রিসিভ করেন তারা চাচা আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন জমিতে গিয়েছিলাম, তাই কী হয়েছে।
শিরোনাম:
- একই সঙ্গে দুই কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুলের নজিরবিহীন দুর্নীতি
- অভয়নগরকে হারিয়ে ফাইনালে কালীগঞ্জ
- অফিস সহকারী পদে হেলালের এমপিওভুক্তি নিয়ে লুকোচুরি
- শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালো শিক্ষক দরকার
- উপশহর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত
- ‘বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে’
- যশোরে নতুন আঙ্গিকে ব্রাদার্স ফার্নিচার শো রুম উদ্বোধন
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস